খসড়া অধ্যাদেশ বাতিল চায় আয়কর কর্মকর্তারা
৩ মে ২০২৫ ২২:২৭ | আপডেট: ৪ মে ২০২৫ ১০:৩৪
ঢাকা: জনস্বার্থে দ্রুত রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া বাতিলের দাবি জানিয়েছেন আয়কর কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে এনবিআর বিলুপ্ত না করা ও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (৩ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে বিসিএস ট্যাক্সেশন অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজিত বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) এ দাবি জানানো হয়। এছাড়া, শিগগিরই আয়কর ও কাস্টমস অ্যাসোসিয়েশন যৌথ ইজিএম করবে বলে জানা গেছে। ইজিএমে আয়কর ক্যাডারের ব ব্যাচ থেকে একজন কর্মকর্তা তাদের ব্যাচের পক্ষ থেকে দাবি ও তার সপক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। বেলা ৪টা থেকে শুরু হয় এই ইজিএম।
ইজিএমে এনবিআরের সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি করা হয়েছে। এছাড়া, অংশীজন হিসেবে আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের সদস্যদের মতামত নিয়ে নতুন করে অধ্যাদেশের খসড়া জারির দাবি জানানো হয়েছে। রাজস্ব নীতি পৃথক করার ক্ষেত্রে আলাদা কমিশন বা বোর্ড রাখার দাবিও করা হয়।
মূলত রাজস্ব খাত সংস্কারের জন্য সরকার পরামর্শক কমিটি গঠনের পর দুই অ্যাসোসিয়েশন তাদের মতামত দিয়েছিল। সেই কমিটি কয়েক মাস আগে প্রতিবেদন জমা দিলেও তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। পরে তড়িঘড়ি করে রাষ্ট্রীয় স্বার্থবিরোধী ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। যা বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের রয়েছে।
রাষ্ট্রের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে প্রশাসন ক্যাডারকে বাড়তি সুবিধা দিতে গিয়ে গোপনীয়তার সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদে খসড়ার অনুমোদনের পর ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন দুই ক্যাডারের কর্মকর্তারা। ৫৩ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে ফেলাকে রাষ্ট্রের বৃহৎ স্বার্থবিরোধী বলে মনে করেন আয়কর কর্মকর্তারা। তারা মনে করেন, প্রধান উপদেষ্টার গঠিত সংস্কার কমিটির স্পিরিটকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজস্ব বিরোধী প্রস্তাবকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এ সময় খসড়ার বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরেন তারা।
এর আগে ২৭ এপ্রিল বিসিএস কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশনের ইজিএমে একই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। শিগগিরই দুই অ্যাসোসিয়েশন যৌথ ইজিএম করবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন তৈরি ও প্রকাশে খুব স্বাভাবিক থাকলেও এনবিআরের সংস্কার ইস্যুতেই শুরু হয়েছে বিভিন্ন টালবাহানা ও গোপনীয়তা। এতে শুরু থেকেই চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছিলেন অনেক কর্মকর্তা ও খাত সংশ্লিষ্টরা।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম