বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক: শাস্তির বিধান নিয়ে হাইকোর্টের রুল
৪ মে ২০২৫ ১৬:০৩ | আপডেট: ৪ মে ২০২৫ ১৭:১৩
ঢাকা: বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কে শাস্তির বিধান কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (৪ মে) বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসাইনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন খান জিয়াউর রহমান।
রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, নতুন নারী শিশু আইনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের শাস্তি সাত বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড বিধান রাখা হয়েছে। এই আইনে পুরুষের শাস্তির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু নারীর বিষয়ে বলা হয়নি।
তিনি বলেন, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের সম্মতিতে সংঘটিত শারীরিক সম্পর্ক যদি শুধুমাত্র ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি’ না রাখার কারণে অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়, তবে তা ব্যক্তি স্বাধীনতা ও নারীর সম্মতির অধিকার লঙ্ঘন করে। এ ধরনের অভিযোগে নারীকে নির্বোধ বা লোভী হিসেবে চিত্রায়ন করা হয়, যা নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ও সম্মানের পরিপন্থি।
আইনজীবী আরও বলেন, প্রতিশ্রুতি না রাখার কারণে শুধু পুরুষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটি নাগরিক অধিকার ও ন্যায়বিচার পরিপন্থি আইন। তাই এই আইন বাতিল চেয় রিট করা হয়।
এর আগে, বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক সংক্রান্ত বিষয়ে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৭ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট করেন এই আইনজীবী। মানবাধিকার সংগঠন ‘এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশনের’ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসানের পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন তিনি।
রিটে আইন সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক সচিব এবং নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়।
সারাবাংলা/আরএম/এসডব্লিউ
বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক শাস্তির বিধান নিয়ে হাইকোর্টের রুল