মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে নানকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
৪ মে ২০২৫ ১৬:৪৩ | আপডেট: ৪ মে ২০২৫ ১৯:১৩
ঢাবি করেসপন্ডেন্ট: ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের নামে ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে হয়রানির অভিযোগে তৎকালীন ঢাবি প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতাদের নামে মামলা করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন।
রোববার (৪ মে) দুপুরে শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুরের কার্যালয়ে এ মামলা দায়ের করেন রাশেদ খাঁন। এ সময় গণ অধিকার পরিষদ ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০০ জন অজ্ঞাতনামা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য মো: আক্তারুজ্জামান, তৎকালীন প্রক্টর গোলাম রাব্বানী, আওয়ামীলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি আবিদ আল হাসান, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় (পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় সভাপতি), নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঢাকা কলেজ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সাকিব হাসান সুইম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান, ঢাবি শিক্ষক সমিতির তৎকালীন সভাপতি অধ্যাপক মাকসুদ কামাল (পরবর্তী উপাচার্য), ঢাবির সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুস সামাদ প্রমুখ।
মামলার এজাহার গ্রহণকালে শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ” রাশেদ সাহেব আজ একটি মামলার এজাহার দিয়েছেন। আমরা এজাহারটি গ্রহণ করেছি। যথাযথ তদন্ত করে আমরা মামলাটির বিষয়ে ব্যাবস্থা নেব।”
গণধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, ‘২০১৮ সালে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। সে ঘটনায় কারা জড়িত ছিল এটি তদন্ত করে বের করা উচিত। সে মামলায় আমাকেই একমাত্র হুকুমদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। তৎকালীন উপাচার্য, প্রক্টর, তৎকালীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলী সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক শামীম সকলে মিলে সভা করে আমাদের ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীর নামে এসব করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তাই আমরা তাদের সেসব মিথ্যা মামলার মাধ্যমে আমাদের নেতাকর্মীকে হয়রানির বিচার পেতে এই মামলা করেছি।’
সারাবাংলা/কেকে/আরএস