ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে জামায়াত আমিরের শোক
৪ মে ২০২৫ ২০:১৮ | আপডেট: ৪ মে ২০২৫ ২৩:৩৬
ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
রোববার (৪ মে) সন্ধা ৭টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ শোক জানান তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।
জামায়াত আমির বলেন, ‘তিনি সুনাম ও স্বচ্ছতার সঙ্গে তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের জন্য বিশেষত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ও ন্যায়বিচারের দাবিতে তিনি ছিলেন সোচ্চার। পেশাগত জীবনে তিনি আইন অঙ্গনে বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনকে তার যোগ্যতা ও নিষ্ঠা দিয়ে সেবা প্রদান করেছেন। এর মধ্যে সাবেক আমিরে জামায়াত অধ্যাপক গোলাম আযম (রাহি.) এর ঐতিহাসিক নাগরিকত্ব মামলা এবং সর্বশেষ জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, মিথ্যা মানবতাবিরোধী মামলাগুলোর প্রধান আইনজীবী ও কৌশলী হিসেবে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। তার অবদান জামায়াতে ইসলামী চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘মহান রাব্বুল আলামীন তার সকল নেক খেদমত কবুল করুন, ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করুন এবং এই অনন্ত সফরে রাহমাহ ও নিরাপত্তা দিয়ে জান্নাতুল ফিরদাউসের বাসিন্দা হিসেবে কবুল করুন। আল্লাহ মরহুমের আপনজন, প্রিয়জন ও সহকর্মীবৃন্দকে সবরে জামিল আতা করুন। আমীন।’
রোববার (৪ মে) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ১৯৪৯ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেখলাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। লন্ডনের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৬ সালে তিনি দেশে ফিরে আইন পেশায় যুক্ত হন। সাংবিধানিক আইন ও ফৌজদারি আইনে অসামান্য দক্ষতার কারণে দেশ-বিদেশে সমদৃত ছিলেন তিনি।
সারাবাংলা/এমএইচ/এসআর