হাসনাতের ওপর হামলা, ঢাবিতে বিক্ষোভ
৫ মে ২০২৫ ০২:১৯
ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লার ওপর হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
রোববার (৪ মে) রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা সূর্যসেন হল, প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন হয়ে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল থেকে তারা আওয়ামীলীগসহ এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। এছাড়া, হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের জবাবদিহিতা চান।
মিছিলের পর সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম বলেন, ‘হাসনাতের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা জুলাই অভ্যুত্থানের ওপর হামলা। অভ্যুত্থানের নয় মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও এই সরকার জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র দিতে পারেনি। জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়াদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। শুধু তাই নয়, জুলাইয়ে যেসব শহিদ রক্ত দিয়েছিল, সরকার তাদের রক্তের মর্যাদা দিতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে ছাত্রদের হাইকোর্ট দেখাবেন না। আপনারা কিসের ভয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করছেন না? যদি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে না পারেন, তাহলে আমরা আপনাদের ওপর থেকে আমাদের সমর্থন সরিয়ে নেব।’
সমাবেশে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজোয়ান আহমেদ রিফাত বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ কি কোনো রাজনৈতিক সংগঠন? তারা এদেশের মানুষের কাছে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে পরিচিত। সন্ত্রাসী সংগঠন কীভাবে নির্বাচন করে। তাদের বাংলাদেশের মাটিতে দেখতে চাই না।’
অন্তর্বর্তী সরকারের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনার যদি দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করেন এবং জুলাই ঘোষণাপত্র না দেন, তাহলে ছাত্র-জনতা আবারও রাজপথে নেমে আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রশাসন থেকে শুরু করে সব জায়গায় একদল কুচক্রী টাকার বিনিময়ে আওয়ামী কর্মীদের বিভিন্ন পদে বহাল রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষক আওয়ামী লীগের বৈধতা দিয়েছিল, তারা এখনো ক্ষমতায় বহাল আছে।’
সারাবাংলা/কেকে/পিটিএম