ঢাকা: ১১তম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আজ থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।
সোমবার (৫ মে) সারাদেশে এক ঘন্টা কর্মবিরতি পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে টানা কর্মসূচি। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ডাকে এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদ ঘোষিত কর্মসূচিতে ৫ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। ১৬ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত আরও এক ঘণ্টা বাড়িয়ে ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবেন। ২১ থেকে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। যা চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে দাবি না মেনে নিলে ২৫ থেকে লাগাতার পূর্নদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। তবে এই আন্দোলন কর্মসূচি পরীক্ষা কার্যক্রমের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানা গেছে।
‘প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত পরামর্শক কমিটি’ গঠন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই কমিটির প্রধান করা হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদকে। ওই কমিটি গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শতাধিক সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দেয়।
কমিটির সুপারিশে সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করে শুরুর পদ শিক্ষক করার সুপারিশ করে। সেখানে শিক্ষক হিসেবে শুরুতে বেতন গ্রেড হবে ১২ তম আর মূল বেতন হবে ১১৩০০ টাকা এর সঙ্গে অন্যান্য সুবিধা যোগ হবে। এরপর দুই বছর পর চাকরি স্থায়ীকরণ ও আরও দুই বছর পর পদোন্নতি পেয়ে তারা সিনিয়র শিক্ষক হবেন। তখন তাদের বেতন গ্রেড হবে ১১ তম। পাশাপাশি কমিটি প্রধান শিক্ষকদের ১১ গ্রেড থেকে বাড়িয়ে ১০ গ্রেড করার সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা বলছেন, ওই সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। তাদের দাবির গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তারা আরও বলছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত তাদেরকে হতাশ করেছে।
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বক্তব্য, তাদের যে ১২তম গ্রেড দেওয়া হয়েছে তা তারা মেনে নিতে পারছেন না। তারা ন্যূনতম ১১তম গ্রেড চান। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি চান। এই দাবি নিয়েই মাঠে নামছেন তারা।