সড়ক-রেলপথ অবরোধ: পুলিশের সঙ্গে সুন্নীপন্থীদের সংঘাত
৫ মে ২০২৫ ১৬:৩৯ | আপডেট: ৫ মে ২০২৫ ১৮:০১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ইসলামী ছাত্রসেনার সাবেক নেতা মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিনকে ‘হত্যার’ বিচার দাবিতে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত ও ছাত্রসেনার নেতাকর্মীরা। এসময় বিভিন্নস্থানে পুলিশের সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে অন্তত ১০ জনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (৫ মে) সকাল থেকে মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, দুই নম্বর গেট, জিইসি, নতুন ব্রিজ, সল্টগোলা ক্রসিং, একে খান গেটসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা। অবরোধের কারণে নগরীর বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। সড়কে তীব্র যানজটে পড়ে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
সকাল ৯টা থেকে বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ শুরুর পর সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর মুরাদপুরে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ার শেল ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করে ষোলশহরে সুন্নীয়া মাদরাসা সড়কে নিয়ে দেয়। এসময় বেশ কয়েকজনকে আটক করতে দেখা যায়।
নগরীর পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান সারাবাংলাকে বলেন, ‘সড়কে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করায় তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বেলা ১২টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।’
মুরাদপুরে রেললাইন অবরোধের কারণে ষোলষহরে কক্সবাজারগামী আন্তনগর ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ ট্রেন আটকা পড়ে। সকাল ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে আটকে থাকার পর দুপুর আড়াইটার দিকে ট্রেনটি কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেয় বলে জানা গেছে।
সকাল ১০টার দিকে নগরীর বন্দর থানার সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন সুন্নীপন্থীরা। এতে বন্দরমুখী আমদানি-রফতানি পণ্যবোঝাই অনেক পরিবহন আটকা পড়ে সড়কে। এছাড়া সকালে নগরীর ইশান মিস্ত্রি হাট এলাকায় সড়ক ও রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়েছে। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
নগর পুলিশের বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হক বলেন, ’৫০-৬০ জন মিলে সড়কে ব্যারিকেড দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি।’
চট্টগ্রাম নগরীর বাইরে হাটহাজারী, চন্দনাইশ উপজেলাসহ আরও বিভিন্নস্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত ও ছাত্রসেনার নেতাকর্মীরা।
গত ২৭ এপ্রিল গাজীপুরের হায়দারাবাদ এলাকায় একটি মসজিদের ইমাম ও খতিব রইস উদ্দিনকে গাছে বেঁধে মারধর করে একদল মানুষ। পরে তাকে পুলিশের সোপর্দ করে। পরদিন ভোরে কারাগারে তার মৃত্যু হয়। রইসের মৃত্যুকে ‘পরিকল্পিত’ হত্যাকাণ্ড দাবি করেছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত।
সারাবাংলা/আরডি/এসআর