Monday 05 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাজেটে সিগারেটে কর আরও বাড়ানোর প্রস্তাব উন্নয়ন সমন্বয়ের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৫ মে ২০২৫ ১৭:১৭ | আপডেট: ৫ মে ২০২৫ ১৯:০১

ঢাকা: সিগারেটে কার্যকর করারোপের দাবি জানিয়ে গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয় বলেছে, বিদ্যমান করের চেয়ে সিগারেটের ওপর আরও বেশি কর আরোপ করা উচিত।

সোমবার (৫ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপের প্রস্তাবনা বিষয়ক এক প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার পক্ষ থেকে এমন অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে।

সংগঠনটি বলছে, চলতি অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপের বিষয়ে তামাক-বিরোধী নাগরিক সংগঠনগুলোর প্রস্তাবের প্রতিফলন দেখা না গেলেও, অর্থবছরের মাঝামাঝি এসে বিভিন্ন স্তরের সিগারেটের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৮ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি এবং সকল স্তরের সিগারেটের ওপর একই বর্ধিত হারে (৬৭ শতাংশ হারে) সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়। দেরিতে হলেও নাগরিক সংগঠনের প্রস্তাবগুলো কর-নীতিতে প্রতিফলিত করায় একদিকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইতিবাচক অগ্রগিত হয়েছে, অন্যদিকে সরকারের বাড়তি রাজস্ব পাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।

এ প্রেক্ষাপটে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটেও সিগারেটে কার্যকর করারোপের এই ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাদভী বলেন, নাগরিক সংগঠনগুলোর প্রস্তাব অনুসারে সিগারেটের দাম বাড়ানো হলে সিগারেটের ওপর বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক হার (৬৭ শতাংশ) অপরিবর্তিত রেখেই আগামী অর্থবছরে চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি রাজস্ব আহরণ করা সম্ভব। এছাড়া বর্তমানে যে চার স্তরের সিগারেট বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে, তার মধ্যে তুলনামূলক সস্তা নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেটকে একটি একিভূত স্তরে নিয়ে এসে ওই নতুন স্তরের একেকটি সিগারেটের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৯ টাকা করা গেলে কিশোর-তরুণদের সিগারেট ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা সম্ভব হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল বলেন, সিগারেটের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে রাজস্ব আহরণের চেয়ে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকেই বেশি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা দরকার। তামাকপণ্য বিক্রি থেকে যে রাজস্ব আসে, তা তামাকজনিত স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৭৫ শতাংশ বলে জানান তিনি।

কার্যকর করারোপের মাধ্যমে সিগারেট বিক্রি থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ১১ থেকে ২৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব বলে জানান বিআইআইএসএস-এর গবেষণা পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিগারেটের দাম না বাড়ানোয় বিগত অর্থবছরগুলোতে সিগারেট বিক্রির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বেড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইডিএস’র গবেষণা সহযোগি হোমায়রা আহমেদ। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহযোগি ড. মাহবুব হাসান।

সারাবাংলা/ইএইচটি/আরএস

উন্নয়ন সমন্বয় সিগারেটের ওপর কর বাড়ানোর প্রস্তাব