বিমানবন্দর থেকে গুলশানের উদ্দেশে খালেদা জিয়া, পথে পথে অভ্যর্থনা
৬ মে ২০২৫ ১২:১০ | আপডেট: ৬ মে ২০২৫ ১৩:২৯
ঢাকা: সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর সকাল ১১টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিমানবন্দর থেকে বের হয়। গুলশানের বাসা ফিরোজার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পর দলের নেতা-কর্মীরা পতাকা নেড়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান।
ফুল, ব্যানার-প্ল্যাকার্ড, খালেদা জিয়ার ছবিসংবলিত টি-শার্ট পরা নেতা-কর্মীরা ‘খালেদা জিয়ার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘খালেদা, জিয়া’, ‘তারেক, রহমান’, ‘খালেদা জিয়া ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’সহ নানা স্লোগান দিচ্ছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা কে কোথায় অবস্থান নিয়ে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাবেন, তা আগেই বলে দেওয়া হয়েছিল। সড়কে ভিড় না করে ফুটপাতে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল; যাতে যানজট বা বিশৃঙ্খলা না হয়।

দুই পুত্রবধূকে নিয়ে গুলশানের বাসার উদ্দেশে খালেদা জিয়া।
দলের নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি অবস্থান নিয়েছে বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়েন হোটেল পর্যন্ত। ছাত্রদল লা মেরিডিয়েন হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত। যুবদল অবস্থান নিয়েছে খিলক্ষেত থেকে হোটেল র্যাডিসন পর্যন্ত। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন হোটেল র্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত। স্বেচ্ছাসেবক দল অবস্থান নিয়েছে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত।
কৃষক দল অবস্থান নিয়েছে বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত। শ্রমিক দল অবস্থান নিয়েছে বনানী কবরস্থান থেকে বনানীর শেরাটন হোটেল পর্যন্ত। ওলামা দল, তাঁতীদল, জাসাস, মৎস্যজীবী দলের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন বনানী কাঁচাবাজার এলাকায়।

দলের চেয়ারপারসনকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দর এলাকায় ভিড় জমিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। ছবি: সারাবাংলা
মুক্তিযোদ্ধা দলসহ সব পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন গুলশান-২ গোলচত্বর এলাকায়। মহিলা দল অবস্থান নিয়েছে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ পর্যন্ত। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা বিমান বন্দর সড়কে নিজ নিজ সুবিধা মতো জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন।
এর আগে, বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে বিএনপি চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো রাজকীয় বহরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে গত ৭ জানুয়ারি লন্ডনে যান তিনি।
সেখানে লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। টানা ১৭ দিন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি ২৫ জানুয়ারি থেকে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ছিলেন।
সারাবাংলা/এজেড/ইআ