পাহাড়ে খেয়াং নারীর মৃত্যু, প্রাথমিক তদন্তে মেলেনি ধর্ষণের আলামত
৬ মে ২০২৫ ১৪:৫৯ | আপডেট: ৬ মে ২০২৫ ১৫:০৫
বান্দরবান: জেলার থানচিতে গহীন পাহাড়ে জুম চাষ করতে গিয়ে এক খেয়াং নারীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় যৌথ প্রেস কনফারেন্স করেছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে কোনো ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। তবে আরও বিস্তারিত তদন্তের জন্য ওই নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এই যৌথ প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রেস কনফারেন্সে জানানো হয়, থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড মংখ্যংপাড়া এলাকার গহীন পাহাড়ের জুমক্ষেত পার্শ্ববর্তী পাথুরি ঝিরির ৫০ ফুট গভীর খাদ থেকে উদ্ধারকৃত চিংমা খেয়াং (২৯) নামে এক নারীর মরদেহ তদন্ত করে কোনো ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি।
এ সময় আরও জানানো হয়, সোমবার (৫ মে) বিকেলে খেয়াং নারীর মরদেহ পাওয়ার সংবাদ পেয়ে থানচি থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে মহিলা পুলিশসহ থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, হেডম্যান, কার্বারি (পাড়া প্রধান) উপস্থিতিতে প্রাথমিক তদন্ত শেষে মরদেহটি উদ্ধার করেন।
পাড়া প্রধান ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, জুম খেতের পাশে ঝিরির ৫০ফুট গভীরে পা উপরের দিকে আর মাথা নিচে অবস্থায় ওই নারীর মরদেহটি পড়ে ছিল। মাথা রক্তাক্ত ছিল এবং শরীরে কাপড়ের কিছু অংশ ছেঁড়া ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গভীর ঝিরিতে পড়ে যাওয়ার সময় গাছের সঙ্গে লেগে ওই কাপড় ছিঁড়ে গিয়েছে এবং নিচে পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন তিনি।
জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি ও পুলিশ সুপার মো.শহিদুল্লাহ কাওছার জানান, মৃত্যুর ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে কাজ করছেন। তারা ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বিভ্রান্তিকর তথ্য শেয়ার করছেন যা সহিংসতা সৃষ্টিসহ আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত রোববার (৪ মে) উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড মংখ্যংপাড়া বাসিন্দা এলাকার গহীন পাহাড়ের জুম চাষ করতে গিয়ে সুমন খেয়াংয়ের স্ত্রী চিংমা খেয়াং (২৯) নিখোঁজ হয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সোমবার বিকেলে জুম খেতের পাশে গভীর পাথুরি ঝিরিতে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ