চেম্বার আদালতে চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত
৬ মে ২০২৫ ১৭:৪৯ | আপডেট: ৬ মে ২০২৫ ২১:৩২
ঢাকা: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
মঙ্গলবার (৬ মে) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ৩০ এপ্রিল বিকেলে হাইকোর্টের দেওয়া চিন্ময়ের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করা পর্যন্ত এ জামিন স্থগিত করা হয়।
একই দিন দুপুরে তার জামিন মঞ্জুর করে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
এদিকে, চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় ৫ মে চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভার্চুয়াল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ। শুনানির সময় চিন্ময় দাসকে জেলখানা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত করা হয়।
এ ছাড়া চট্টগ্রামে পুলিশের কাজে বাধা-ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা আরও চারটি মামলায় আজ তাকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেওয়া হয়। শুনানি শেষে এ আদেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম এসএম আলাউদ্দিন মাহমুদ।
এর আগে, ৪ ফেব্রুয়ারি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কেন জামিন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়। সমাবেশের পর ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন নগরীর চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান।
পরবর্তীতে ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় ২৫ নভেম্বর তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন জামিন চাইলে নামঞ্জুর করে চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
এ নিয়ে ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই দিনই চিন্ময়কে কারাগারে নেয়া হয়। পরদিন জামিন শুনানির দিন ধার্য থাকলেও আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিলে বন্ধ থাকে আদালতের কার্যক্রম।
পরে গত ৩ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। ওই দিন চিন্ময়ের কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়। সেদিনও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন বিচারক। পরবর্তীতে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।
সারাবাংলা/আরএম/ইআ