২ বছর পর হত্যা মামলা, আসামি সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও ডিসি-এসপি
৬ মে ২০২৫ ১৯:৩৫ | আপডেট: ৬ মে ২০২৫ ২১:৩১
পঞ্চগড়: বিক্ষোভ মিছিলে হামলায় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ আরেফিনের মৃত্যুর প্রায় দুই বছর পর পঞ্চগড় আদালতে হত্যা মামলা করেছেন তার স্ত্রী শিরিন আক্তার।
মঙ্গলবার (৬ মে) মামলার তথ্যটি নিশ্চিত করেন পঞ্চগড় আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আদম সুফি। হামলায় নিহত আরেফিন জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন।
এর আগে সোমবার (৫ মে) অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করলে বিচারক এসএম শফিকুল ইসলাম মামলাটি তদন্তপূর্বক এজাহার হিসেবে অন্তর্ভুক্তির আদেশ দেন।
চাঞ্চল্যকর এই মামলায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা, সাবেক রেলপথমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল ইসলাম সুজন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, আওয়ামী লীগের দুই সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান ও নাঈমুজ্জামান মুক্তা, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন, পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক মেয়র জাকিয়া খাতুন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখসহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ মোট ১৫৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৭০০/৮০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে পঞ্চগড় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নেতাকর্মীরা। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা ও তৎকালীন জেলা প্রশাসক, পুলিশের চার কর্মকর্তার পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও ইন্ধনে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায় এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় সময় বিএনপি নেতা আরেফিনের ওপর হামলা ও তাকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে দলের অন্য নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা। ঘটনার পর থেকেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে আসছিল আরেফিনের পরিবার।
পঞ্চগড় আদালতের পিপি আদম সুফি বলেন, ‘তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুকূল পরিবেশ না থাকায় বাদী এখন তার স্বামী হত্যার মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি তদন্তপূর্বক এজাহার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন।’
সারাবাংলা/পিটিএম