পাকিস্তানে হামলা: ক্ষতির মুখে ভারত, একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ
৭ মে ২০২৫ ১০:৫৫ | আপডেট: ৭ মে ২০২৫ ১২:৪৭
ভারত-পাকিস্তানের পালটাপালটি এসব হামলার পর উত্তর ভারতের বহু বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের হামলায় ভারতের চারটি বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে গেছে। এসব এলাকার স্থানীয়দের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। এ ছাড়াও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মিরে স্কুল-কলেজ।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরের বেশ কয়েক জায়গায় ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩৫ জন। ভারতের ক্ষেপণান্ত্র হামলার জবাবে দেশটির পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান। এতে নিহত হয়েছেন ভারতীয় তিন নাগরিক।
আরও পড়ুন- ‘ঘটনাটি দুঃখজনক, আশা করি উত্তেজনা দ্রুত শেষ হবে’
বুধবার (৭ এপ্রিল) পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে এ তথ্য জানান। এ ছাড়া কয়েকজন ভারতীয় সেনাকে যুদ্ধবন্দি হিসেবে আটকের দাবিও করেছেন তিনি।
খাজা আসিফ বলেন, “যদি ভারত আগ্রাসী মনোভাব বাদ দেয় তাহলে তারা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। কিন্তু ভারত যদি আগ্রাসী কিছু করে তাহলে তারা অবশ্যই জবাব দেবেন। যদি এসব শত্রুতাপূর্ণ কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়, আমরা অবশ্যই ভারতের সঙ্গে কথা বলব। আমরা চাই না এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হোক। কিন্তু ভারত থেকে যদি শত্রুতাপূর্ণ কিছু আসে, তাহলে আমাদের জবাব দিতে হবে।”
বুধবার সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী দাবি করে বলেন, ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংসের পর পাকিস্তান বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো নিরাপদে ফিরেছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক সামরিক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) ধ্বংসপ্রাপ্ত জেটের মধ্যে তিনটি ফরাসি তৈরি রাফায়েল, একটি এসইউ-৩০এমকেআই এবং একটি এমআইজি-২৯ ফুলক্রাম রয়েছে।
পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) ধুন্দিয়াল সেক্টরে ভারতীয় সেনাদের ব্রিগেড সদরদফতর ধ্বংস করেছে এবং একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
আরও পড়ুন- পাকিস্তানে ভারতের বিমান হামলা, নিহত ৮
তবে পাকিস্তানের বিমান ভূপাতিত করার দাবি সম্পর্কে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি। এসব যুদ্ধবিমান ধ্বংস হলে তা হবে কয়েক দশকের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতি। ফলে যুদ্ধ তীব্রতর হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করবে।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি স্বাধীনতাকামীদের হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হন। এ ঘটনায় এক দিকে ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করছে। অন্যদিকে পাকিস্তান হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে।
তবে দুই দেশের উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে পাকিস্তানের একাধিক শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনারা। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতীয় এই হামলাকে ‘বিনা প্ররোচনায় কাপুরুষোচিত’ বলে আখ্যা দিয়ে পাকিস্তানও পালটা জবাব দেওয়া শুরু করেছে।
সারাবাংলা/ইআ