দীর্ঘ দিন পর মিলছে এমআরটি পাস, স্টেশনে ক্রেতাদের ভিড়
৭ মে ২০২৫ ১৩:৩৬ | আপডেট: ৭ মে ২০২৫ ১৭:৪২
ঢাকা: দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর এমআরডি, র্যাপিড পাস দিচ্ছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ডিএমটিসিএল। বুধবার (৭ মে) থেকে স্টেশনগুলো থেকে যাত্রীরা এই স্থায়ী পাস ক্রয় করতে পারছেন। যে কারণে এদিন সিঙ্গেল পাসের কাউন্টারগুলোতে ভিড় কম দেখা গেছে।
রাজধানীর জনপ্রিয় গণপরিবহন মেট্রোরেলের ভাড়া পরিশোধে তিন ধরনের কার্ড ব্যবহৃত হচ্ছে। এরমধ্যে স্থায়ী কার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে র্যাপিড ও ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি)। আর অস্থায়ী পাস হিসেবে ব্যবহৃত হয় একক যাত্রার সিঙ্গেল পাস। এরমধ্যে এমআরটি বা র্যাপিড পাস ব্যবহার করলে টিকিটের মূল্যে ১০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যায়। এ কারণে স্থায়ী কার্ড এমআরটি ও র্যাপিড পাসের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী কার্ড সরবরাহ করতে পারছিল না ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে মেট্রোরেলে র্যাপিড পাসের সংকট চলছিল। এ কারণে মেট্রোরেলের যাত্রীরা পড়েছিলেন চরম ভোগান্তিতে।
দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হয়েছে। এরই মধ্যে ৯০ হাজার এমআরটি ও র্যাপিড পাস এসে পৌঁছেছে। এ কার্ড সংগ্রহে দায়িত্বে থাকা আরেক সরকারি সংস্থা ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ- ডিটিসিএ।
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক নিলীমা আখতার সারাবাংলাকে বলেন, ‘এই কার্ড নিয়ে যে জটিলতা ছিল তা কেটে গেছে। এরমধ্যে ৯০ হাজার কার্ড এসে পৌঁছেছে। আগামী মাসে আরও কার্ড আসার কথা রয়েছে। আশা করি এতে করে যাত্রীদের ভোগান্তির কিছুটা হলেও কমবে।’
২০২২ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে মেট্রোরেল। উত্তরা থেকে মতিঝিল পথে চলাচল করা মেট্রোরেলের ভাড়া পরিশোধ হয় কার্ডের মাধ্যমে। গণপরিবহনে এ ভাড়া পরিশোধে ডিটিসিএ একটি প্রকল্পের আওতায় জাপানের নিপ্পন সিগন্যাল কোম্পানি থেকে তিন লাখ ১৩ হাজার একক যাত্রার আর সাত লাখ ২৮ হাজার এমআরটি পাস কেনে সরকার। ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সেগুলো বিক্রি করা হয়। এরপর যাত্রীরা এমআরটি পাস কিনতে পারেননি। তবে যাত্রী চাহিদা মেটাতে গত জানুয়ারিতে প্রাইম পাওয়ার সলিউশেন নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে আড়াই লাখ কার্ড সরবরাহের দায়িত্ব দিয়েছিলো ডিটিসিএ। প্রতিষ্ঠানটি ইন্দোনেশিয়া থেকে কার্ড আমদানি করে ডিএমটিসিএলকে দিচ্ছে।
ডিএমটিসিএলের তথ্যানুযায়ী, এখন প্রতিদিন যাতায়াত করা যাত্রী সংখ্যা ৪ লাখেরও বেশি। মোট যাত্রীর ৬০ শতাংশই র্যাপিড ও এমআরটি পাস ব্যবহার করে। বাকি ৪০ শতাংশ যাত্রী ব্যবহার করি একক যাত্রার কার্ড। গত ছয় থেকে সাত মাস ধরে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের কাছে র্যাপিড, এমআরটি পাস বিক্রির করার মতো একটি কার্ডও ছিলোনা। যাত্রীরা প্রতিনিয়ত কার্ড খুঁজেতেন। কার্ড না পেয়ে ফিরে যেতেন।
বুধবার (৭ মে) সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর মতিঝিল, শাহাবাগসহ প্রায় প্রতিটি স্টেশনেই আলাদা কাউন্টারে বিক্রি হচ্ছে নতুন এমআরটি র্যাপিড পাস। তবে এবার আর আলাদা নয়। দুই কার্ড এখন দিচ্ছে একটিতে।
ডিএমটিসিএলের কর্মীরা জানিয়েছেন, এখন একই কার্ডে এমআরটি ও র্যাপিড পাস ব্যবহার করা যাবে।
স্টেশনগুলোতে দেখা গেছে, স্থায়ী কার্ড পাওয়ায় সিঙ্গেল কার্ড বিক্রির কাউন্টারগুলোতে ভিড় কম। যাত্রীরা বলছেন এবার স্বস্তি পাওয়া গেলো।
উল্লেখ্য, স্টেশনের বিশেষ কাউন্টার থেকে ৪০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হচ্ছে এমআরটি, র্যাপিড পাস।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিক্রি শেষ হয়ে গেলে এবং নতুন করে কার্ড না এলে আবারও সংকট দেখা দিতে পারে।
সারাবাংলা/জেআর/এমপি