আইএমএফ’র কিস্তি ছাড়: দুই ভার্চ্যুয়াল বৈঠকেও সমঝোতা হয়নি
৭ মে ২০২৫ ১৬:০৫ | আপডেট: ৭ মে ২০২৫ ১৬:২৪
ঢাকা: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর চলমান ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অনুমোদন ও অর্থছাড়ে দু’দিন দু’দফা ভার্চুয়াল বৈঠক করেও কোনো সমঝোতায় পৌঁছুতে পারেনি উভয়পক্ষ।
জানা যায়, আইএমএফ’র ঋণের দুই কিস্তি অর্থ ছাড়ে গত সোম ও মঙ্গলবার (৫ ও ৬) মে) সংস্থাটির সঙ্গে দুই দফা ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু কোনো ধরনের সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়েছে ওই দুই বৈঠক।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, কোনো সমঝোতা না হলেও আইএমএফ’র সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
সূত্র মতে, আইএমএফ চায়, বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালু করুক। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এখনই বাজারের ওপর তা ছেড়ে দিতে রাজি নয়। আইএমএফ নমনীয় বিনিময় হার বাস্তবায়নের ওপর জোর দিচ্ছে—যেখানে ছোটখাটো পরিবর্তনের বাইরে গিয়ে একাধিক বিনিময় হার তুলে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, এতে মুদ্রাস্ফীতি ও রাজনৈতিক চাপ বাড়তে পারে।এছাড়া ঋণের শর্তের আওতায় আর্থিক খাত সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা ও শর্ত নিয়েও আলোচনা চলছে।
এর আগে ৬ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে আইএমএফ-এর একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করে। সফরে তারা এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ), এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) ও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) প্রোগ্রামের আওতায় নেওয়া সংস্কার কার্যক্রমের তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যালোচনা করে।
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ২.৩ বিলিয়ন ডলার।
চতুর্থ কিস্তির (৬৪৫ মিলিয়ন ডলার) বিষয়ে আলোচনার অগ্রগতি না হওয়ায় গত ফেব্রুয়ারিতে তা আটকে যায়। এরপর অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, পারস্পরিক সম্মত শর্ত পূরণে সময় লাগার কারণেই এই দেরি।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অর্থনীতির ভিত্তি মজবুত করতে আইএমএফের সঙ্গে চুক্তির আওতায় যেসব শর্ত নির্ধারিত হয়েছে, তা পূরণের পরই ঋণের কিস্তি ছাড়া হয়। এসব শর্তের অনেকগুলো বাস্তবায়নে সময় লাগে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘তাই পারস্পরিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একত্রে ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, এপ্রিলের পর্যালোচনা এবং ২০২৫ সালের জুনে আইএমএফ বোর্ডের অনুমোদন পাওয়ার পর জুন মাসেই এই দুই কিস্তি একসঙ্গে ছাড়া হবে।
সারাবাংলা/আরএস