ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সনদ তৈরিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি: আলী রীয়াজ
৭ মে ২০২৫ ১৮:৪৭ | আপডেট: ৭ মে ২০২৫ ২০:৩০
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (পীর চরমোনাই) আলোচনায় অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ অনান্যরা।
ঢাকা: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।
বুধবার (৭ মে জাতীয়) সংসদ ভবনের এল. ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (পীর চরমোনাই) আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ কথা বলেন।
আলোচনায় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, এ দেশের জনগণের চাওয়া হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। কেবল কমিশন কর্তৃক আনুষ্ঠানিক আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য গড়ে উঠবে তা আমি মনে করি না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে এমন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তৈরি করা, যেখানে মানুষ গুম-খুনের শিকার হবেন না। নিজস্ব বিশ্বাসের কারণে নিপীড়নের শিকার হবেন না। কোনো নাগরিকই নিপীড়িত হবেন না। জনগণের একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো গঠনের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা অর্জনের চেষ্টা করছি।
জাতি, রাষ্ট্র এবং জনগণের স্বার্থকে উর্ধ্বে তুলে ধরে একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর আশাবাদ ব্যক্ত করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব আদর্শিক পরিকল্পনা থাকে। তারপরও মত পার্থক্যের উর্ধ্বে উঠে একটি রাষ্ট্র কাঠামো বিনির্মাণের সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কমিশন বরাবর তাদের মতামত জমা দেয়। সে প্রেক্ষিতে দলটির সঙ্গে আজ আলোচনায় বসে কমিশন।
আলোচনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (পীর চরমোনাই) মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহম্মেদ সেখের নেতৃত্বে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী ও মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ন মহাসচিব প্রকৌশলী মুহাম্মদ আশরাফুল আলমসহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
সারাবাংলা/এনএল/ইআ
অধ্যাপক আলী রীয়াজ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জাতীয় ঐকমত্য কমিশন