ছদ্মবেশে রাজবাড়ী বিআরটিএ’তে দুদকের অভিযান, টাকাসহ আটক ৪
৭ মে ২০২৫ ২০:১৩
রাজবাড়ী: ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ভোগান্তি, গ্রাহক হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্ম্যে ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে রাজবাড়ীতে বিআরটিএ (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) কার্যালয়ে ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় চারজন দালালকে টাকাসহ আটক করা হয়।
বুধবার (৭ মে) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজ এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটকরা হলেন— সদর উপজেলার চরলক্ষীপুর গ্রামের আব্বাস আলী খানের ছেলে মো. আশিক খান, রামকান্তপুর ইউনিয়নের কাজিবাধাঁ বেথুলিয়া গ্রামের মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে মো. আকরামুজ্জামান, গোপীনাথদিয়া গ্রামের রহমত আলী মৃধার ছেলে লিয়াকত আলী মৃধা ও পৌরসভার কাজীকান্দা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে মো. মনসুর আহমেদ।
দুদক ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজ বলেন, রাজবাড়ী বিআরটিএ কার্যালয়র ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ভোগান্তি, গ্রাহক হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্ম্যে ও ব্যাপক অনিয়মের একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। সেই অভিযোগের সত্যতা জানতে ছদ্মবেশে আজ এখানে আসি। এসে দেখি দালালের আনাগোনা রয়েছে। আমরা চারজন দালালকে আটক করেছি। আশিক নামের একজন দালালের কাছ থেকে আমরা ৩৩ হাজার ১০০ টাকা পেয়েছি। যা বিভিন্ন পরিক্ষার্থীর কাছ থেকে নিয়েছে। আকরামুজ্জামান এখানে সিল কন্টাকটার হিসেবে রয়েছেন, তার কাছ থেকে ২৫ হাজার ৮০ টাকা, লিয়াকত নামের আরেক দালালের থেকে ১৪ হাজার ২৪০ টাকা উদ্ধার করেছি। এ ছাড়া মনসুর নামের আরেকজন দালাল তিনি বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে এবং তার বিনিময়ে তিনি মোটা অংকের টাকা (ঘুষ) নেয়।
তিনি আরও বলেন, অনেক পরীক্ষার্থী রয়েছে যারা মৌখিক পরীক্ষায় পাশ করতে পারে না, লিখিত পরীক্ষায় পাস করতে পারে না, ফিল্ড টেস্টে পাস করতে পারে না। তাদের থেকে এরা টাকা নিয়ে পাশ করিয়ে দেয়। আমরা বিআরটিএ এর দায়িত্বে থাকা ইন্সপেক্টর এর কাছে কাগজপত্র চেয়েছি। আমরা সরেজমিনে যা সত্যতা পেয়েছি এবং কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করব। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এইচআই