Thursday 08 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অব্যবস্থাপনার কারণে তিতুমীর কলেজের ক্যান্টিনে কমেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি

তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি
৭ মে ২০২৫ ২০:২৩

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের একমাত্র ক্যান্টিন ‘বাঁশের কেল্লা’। এক সময় ক্যান্টিনে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা গেলেও অব্যবস্থাপনার কারণে দিন দিন কমছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। ক্যান্টিনের খাবারের পরিবেশ, দাম ও মান নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ শিক্ষার্থীদের। দীর্ঘদিন ধরে চলমান  সমস্যার সমাধান না পাওয়ায় ক্যান্টিন এড়িয়ে চলছে অনেক শিক্ষার্থী।

ক্যান্টিনে বরাদ্দকৃত সাতটি স্টল থাকলেও বর্তমানে চালু আছে মাত্র তিনটি স্টল। বাকি স্টল গুলো চালু করার ব্যাপারে অনেকটাই উদাসীন স্টলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পড়ে আছে বাকি স্টল গুলোর আসবাবপত্র। ক্যান্টিনে ঢুকতেই চোখে পরে এসব অপরিচ্ছন্ন আসবাবপত্র। এলোমেলোভাবে পড়ে আছে যাবতীয় মালামাল। অপরিচ্ছন্ন বাটি গুলোতে ভন ভন করছে মাছি। চারপাশে বর্জ্য-ময়লা ছড়ানো ছিটানো। এইসব তদারকিও করছে না স্টলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই পরিবেশন করছে খাবার। কলেজ প্রশাসন থেকেও স্টল গুলো চালু করার ব্যাপারে কোন সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

বিজ্ঞাপন

ক্যান্টিনে বসে খাওয়ার নেই কোনো পরিবেশ। নেই কোনো বৈদ্যুতিক পাখার ব্যাবস্থা। এজন্য শিক্ষার্থীদের খাবার নিয়ে ক্যান্টিনের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে অথবা মাঠে বসে খাবার খেতে হয়। ক্যান্টিনের মেনুতে খাবারের সংখ্যা সীমিত এবং অধিকাংশ খাবার ফাস্ট ফুড জাতীয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথেই এসব খাবার হয়ে উঠছে খাওয়ার অনুপযোগী। ক্যান্টিনে নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাও। শিক্ষার্থীদের অধিক অর্থ ব্যয় করে মিনারেল পানি কিনে খেতে হয়। যা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর সামর্থ্যের মধ্যে থাকে না। ক্যান্টিনে সাশ্রয়ী মূল্যে স্বাস্থ্যকর খাবার না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী বাইরের স্টল গুলোতেও ভিড় জমায়।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আমাদের কলেজের তুলনায় ক্যান্টিন অনেক সংকীর্ণ। বসার যথেষ্ট জায়গা নেই। দ্রুত ক্যান্টিনের আয়তন বৃদ্ধি করে বসে খাওয়ার পরিবেশ তৈরি করার জন্য আবেদন অনেক শিক্ষার্থীদের। কিছু শিক্ষার্থী বাইরের স্টল গুলোর সাথে ক্যান্টিনের তুলনা করে বলেন, ক্যান্টিনের স্টল গুলোর জন্য দিতে হয় না ভারা কিংবা বৈদ্যুতিক বিল। এজন্য ক্যান্টিনের খাবারের মূল্য কমিয়ে অথবা খাবারের মান বৃদ্ধি করা উচিৎ।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্যান্টিনে দুপুরের খাবারের কোনো ব্যবস্থা নেই। দূরদূরান্ত থেকে আসা অনেক শিক্ষার্থী কলেজ বাসে যাতায়াত করেন। দুপুরের খাবার নিয়ে তাদের পরতে হয় বিপাকে। ক্যান্টিনে দ্রুত দুপুরের খাবারের ব্যাবস্থা করার আবেদন শিক্ষার্থীদের।

ক্যান্টিনের দায়িত্বে থাকা সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর মোহাম্মদ মাসুদ উজ্জামান বলেন, খুব শীঘ্রই ক্যান্টিনে বৈদ্যুতিক পাখার ব্যাবস্থা করা হবে।

ক্যান্টিনে বসে খাবার পরিবেশ এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যাবস্থা নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এটি ক্যান্টিনের অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে বসে খাওয়ার পরিবেশ নেই। ছোট একটি ক্যান্টিনে বসে খাবার পরিবেশ তৈরি করা প্রায় অসম্ভব। ক্যান্টিনে বসার পরিবেশ সমস্যার সমাধান বিশুদ্ধ পানি ব্যবস্থা করার জন্য প্রস্তাবনা তুলে ধরতে চাইলেও নিশ্চিত ভাবে কিছু বলেনি তিনি।

সারাবাংলা/এমআর/এসএইচএস

সরকারি তিতুমীর কলেজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর