টাঙ্গাইলে শহিদ পলাশের মরদেহ উত্তোলনে আপত্তি
৭ মে ২০২৫ ২০:৪২ | আপডেট: ৭ মে ২০২৫ ২০:৪৯
টাঙ্গাইল: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে শহিদ ফিরোজ তালুকদার পলাশের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করতে তার মা ও স্ত্রী আপত্তি জানিয়েছেন।
বুধবার (৭ মে) সকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল ইসলামসহ তদন্ত কর্মকর্তা পলাশের মরদেহ উত্তোলন করতে গেলে মামলার বাদী পলাশের স্ত্রী রেশমা সুলতানা মরদেহ না তোলার জন্য আবেদন করেন।
পলাশের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পৌর শহরের ঘাটান্দি গ্রামে। তিনি মৃত সোহরাব হোসেন ও বেনু বেগমের ছেলে।
সম্প্রতি তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মেট্রো পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসানের আবেদন করলে ঢাকা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদেশ দেন।
পলাশের বৃদ্ধা মা বেনু বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার ছেলের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনে বাধা দেন। ফলে স্থানীয়দের উপস্থিততে পুলিশ তার মরদেহ উত্তোলন না করে ফিরে যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশক্রমে শহিদ পলাশের মরদেহ উত্তোলন করতে চাইলে মামলার বাদী পলাশের স্ত্রী রেশমী সুলতানার আবেদন ও পলাশের মাসহ স্বজনদের আপত্তির কারণে মরদেহ উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়টি মহামান্য আদালতকে অবগত করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্ত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে অসুস্থ মাকে দেখতে বাড়ি আসার পথে শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে গুলিতে ফিরোজ তালুকদার পলাশ গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন।
এরপর তাকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পৌর শহরের নিজ গ্রাম ঘাটান্দি এলাকায় দাফন করা হয়। তিনি রাজধানীর ঢাকার মিরপুর ১২ নম্বরে সপরিবারে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং রংপুর কেমিকেল কোম্পানিতে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন। তার এক মেয়ে রয়েছে। তিনভাই-বোনের মধ্যে পলাশ ছিল বড় এবং তিনি ছিলেন একমাত্র উপার্জন সক্ষম ব্যক্তি।
সারাবাংলা/এইচআই