ঢাকা: বিগত বছরগুলোর চেয়ে চলতি বছর ভূমি উন্নয়ন কর ৩০ শতাংশ বেশি আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ। আর এটা ভূমি ডিজিটালাইজেশনের জন্যেই সম্ভব হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ভূমিসেবা সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ভূমি সচিব বলেন, ভূমি উন্নয়নকর দিতে মানুষ ভুলে গেছে। জলমহাল বালুমহাল নিয়ে প্রায়শই আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ ও আদায়-ভূমি ব্যবস্থাপনার প্রাথমিক কাজ। এই দুটি কাজের মধ্যে ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) নির্ধারণ কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা অনেকটা নিরস একটি কাজ। অর্থাৎ, এ কাজে সকলের আগ্রহ থাকে না।
তিনি আরও বলেন, ভূমি ডিজিটালাইজেশন হওয়ার ফলে পূর্বের বছরের তুলনায় এ বছর ৩০ শতাংশ বেশি ভূমি উন্নয়নকর আদায় হয়েছে। একটু ভালোভাবে যদি লক্ষ করি প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টেরই নানারকম মেলা রয়েছে। কর মেলা, ভ্যাট মেলা, বৃক্ষ মেলা, কৃষি মেলা প্রভৃতি। অথচ ভূমিসেক্টর দেশের জন্য একটি অত্যান্তগুরুত্বপূর্ন রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্র হওয়া সত্ত্বেও এর কাজগুলো নিশ্চুপ থেকে যায়। সে লক্ষ্যে এবারের ভূমি সপ্তাহে ভূমিসেবার নানা দিকগুলোর সাথে করের ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে বলেন ভূমি সচিব।
সভায় অনুষ্ঠানের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়, বিভিন্ন কমিটি করা হয়। সম্ভাব্য তারিখ ২৫-২৯ মে, তবে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার অনুমোতি ক্রমে সার্বিক বিষয় নিশ্চিত করা হবে।
সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর এর মহাপরিচালক (গ্রেড-১), মো. সাইদুর রহমান; অতিরিক্ত সচিব (জরিপ ও সায়রাত অনুবিভাগ) সায়মা ইউনুস, এনডিসি ড. মো. মাহমুদ হাসান অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন); মো. আব্দুর রউফ এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (আইন অনুবিভাগ); মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ); মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিবসহ (মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ) মন্ত্রণালয়ের ঊর্ব্ধতন কর্মকর্তারা।