ভারতের ২৪ বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা
৯ মে ২০২৫ ১২:২২ | আপডেট: ৯ মে ২০২৫ ১৪:২৪
ভারতের উত্তরের ও পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ২৪টি বিমানবন্দরে সাময়িকভাবে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) গভীর রাতে ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ২৪টি বিমানবন্দর বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বড় এয়ারলাইনগুলো জানিয়েছে, শনিবার (১০ মে) পর্যন্ত পাঞ্জাবের অমৃতসর, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরসহ সীমান্তবর্তী বিমানবন্দরগুলো থেকে ফ্লাইট বন্ধ থাকবে।
বুধবার (৭ মে) ইন্ডিগো, ভারতের বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ এয়ারলাইন, ১৬৫টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এয়ার ইন্ডিয়া ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসও একই ধরনের সংখ্যক ফ্লাইট বাতিল করে। অমৃতসর বিমানবন্দর হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটকে নয়াদিল্লিতে ফিরিয়ে আনতে হয়।
পেহেলগাম ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে ওঠায় বৃহস্পতিবার (৮ মে) পাকিস্তানের লাহোর, ইসলামাবাদ, করাচি ও অন্যান্য শহর থেকেও বহু অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল হয়, কিছু ফ্লাইট আবার করাচি, মুলতান ও ইসলামাবাদে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
দোহা, তুরস্ক, কানাডা সহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ফ্লাইটগুলোও বাতিল বা অন্যত্র পাঠানো হয়েছে। ভারতের ড্রোন হামলার জেরে পাকিস্তানের আকাশপথে বিঘ্ন দেখা দিয়েছে।
লাহোর থেকে হজযাত্রী পরিবহনকারী ফ্লাইটগুলো কয়েক ঘণ্টা বিলম্বের মুখে পড়ে। পাকিস্তান এয়ারপোর্টস অথরিটি (পিএএ) বৃহস্পতিবার (৮ মে) সারাদিন আকাশসীমা খোলা ও বন্ধ করেছে পর্যায়ক্রমে।
নতুন নোটিশ টু এয়ারম্যান (নোটাম) অনুসারে, লাহোরের কিছু আকাশপথ শুক্রবার (৯ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে অন্য এলাকাগুলোর ফ্লাইট স্বাভাবিকভাবে চলবে বলে জানানো হয়েছে। করাচি বিমানবন্দরের কার্যক্রম মধ্যরাত পর্যন্ত সীমিত রাখা হয়েছে।
লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দৈনিক ৪৮ থেকে ৫৫টি দেশি-বিদেশি ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছেন হজযাত্রী ও আন্তর্জাতিক যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতেই দুবাই, শারজাহ, দোহা, মদিনা ও রিয়াদগামী ফ্লাইটগুলো হঠাৎ করেই বাতিল করা হয়। লাহোরের ওয়ালটন ও ডিফেন্স এলাকায় ভারতের ড্রোন তৎপরতার পর এসব ফ্লাইট স্থগিত হয় বলে জানা গেছে।
যদিও পরে এসব ফ্লাইট বিলম্বে যাত্রা শুরু করে, তবুও দোহা, মদিনা, ইস্তানবুল, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর থেকে আসা ফ্লাইটগুলোকে ইসলামাবাদ, করাচি ও মুলতানে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/এনজে