আরবি বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষ জনশক্তি তৈরি করবে: শিক্ষামন্ত্রী
২৭ জুন ২০১৮ ১৩:০১ | আপডেট: ২৭ জুন ২০১৮ ১৪:৫৫
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: শিক্ষাক্ষেত্রে দেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতি বিশ্বের অনেক দেশের কাছেই ঈর্ষণীয়। সরকার সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষার আধুনিকায়ন করে এ খাতে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। সে ক্ষেত্রে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অনন্য উদাহরণ। এর মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবে। মধ্যপ্রাচ্যের আরবি ভাষাভাষী দেশগুলোর শ্রমবাজারেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় প্রতিযোগিতা-২০১৭ এর জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এদেশে যারা আল্লাহর আইন আর সৎ লোকের শাসনের স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলো তারা মাদরাসা শিক্ষার কোনো উন্নয়ন করেনি। কিন্তু ক্ষমতায় আসলে মাদরাসা ধংস হয়ে যাবে সেই শেখ হাসিনার সরকারই দেশের মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন করেছে। দেশের কওমী মাদরাসাও সরকারি স্বীকৃতি পাচ্ছে।
কেবল শিক্ষার কারিকুলামই নয় ভৌত অবকাঠামোর দিক দিয়েও সরকার মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন করছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশে অসংখ্য মাদরাসায় ভবন নির্মান করা হয়েছে। বেতন কাঠামোয় সমতা আনা হয়েছে। আলেমদের চাহিদা ছিলো একটি এফিলিয়েটেড বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু তাদের চাহিদার চেয়েও বেশি একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মান্নান বলেন, জ্ঞান বিজ্ঞানে একসময় মুসলমানরাই ছিল শ্রেষ্ঠ। অথচ এখন অনেক স্বঘোষিত আলেম নিজেদের মতো করে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি বাড়ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ভূমিকা রাখবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পরিচালিত ফাজিল (পাস), ফাজিল (অনার্স) ও কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশব্যাপী দুইটি বিষয়ের ওপর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা পর্যায়ে ১৫৩৩ জন, বিভাগী পর্যায়ে ৩৯৬ জন এবং জাতীয় পর্যায়ে ৮৪ জন প্রতিযোগি অংশ নেন। এর মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে ৩৬ জন বিজয়ী হন। যার মধ্যে ২৫ জন ছাত্র এবং ১১ জন ছাত্রী।
অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সারাবাংলা/এমএস/জেএএম