রংপুরে হাঁপিয়ে উঠেছে জনজীবন, আরও বাড়তে পারে তাপমাত্রা
৯ মে ২০২৫ ১৮:৪৪ | আপডেট: ৯ মে ২০২৫ ২২:১১
রংপুর: ‘সকালে সূর্যের আলো ফুটতে না ফুটতেই গরম শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমের তীব্রতাও বাড়তে থাকে। কাজ করতে করতে রোদে শরীর ভেজে, আবার রোদেই শুকায়’ — তীব্র রোদ আর প্রচণ্ড গরম নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন রংপুর নগরীর চারতলা মোড়ে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা ষাটোর্ধ্ব রিকশাচালক মহিবুল মিয়া।
তীব্র গরমে জনজীবন যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তা এরিমধ্যেই টের পেতে শুরু করেছে নগরবাসী। একে তো বৃষ্টির দেখা নেই তার মধ্যে লোডশেডিং, সবমিলিয়ে জনজীবন হাঁপিয়ে উঠেছে। দুঃসংবাদ দিয়ে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
আর এমন গরমে বাসার বাইরে শিশুদের অযথা না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিশু চিকিৎসকরা।
উত্তরের জেলা রংপুরে তীব্র রোদ আর প্রচণ্ড গরম যেনো এখন আতঙ্কের নাম। সকাল থেকেই যেন তাপমাত্রার পারদ উঠতে উঠতে আগুনের ফুলকি বইতে শুরু করে। ঘর থেকে বের হলেই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। তবে তীব্র গরমে বেশি দুর্ভোগে পড়ছে শ্রমজীবী মানুষ। পেটের দায়ে গরম উপেক্ষা করে কাজ করছেন। আর গরম রাত ৯টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গরমের মাত্রা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

একটু শান্তি পেতে ক্লান্ত পথিকরা ঘুমিয়েছেন গাছের ছায়ায়
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৯ মে) রংপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও ৪২ সেলসিয়াস অনুভূতি হয়। বাতাসে আর্দ্রতা না থাকায় তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে থাকবে।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, তীব্র গরমে একটু শান্তি পেতে ক্লান্ত পথিক ঘুমিয়েছেন গাছের ছায়ায়। ক্লান্ত রিকশাচালকরা গাছের ছায়ায় জিড়িয়ে নিচ্ছেন কেউ কেউ।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আগামী ১০ দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা নেই। তবে তাপমাত্রা আরও বাড়বে।
সারাবাংলা/এইচআই