ঢাকা: এবার তিন দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করেছেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের আহতরা। দাবি তিনটি হলো— আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও অভ্যুত্থানে আহতদের উন্নত চিকিৎসা।
রোববার (১১ মে) সকালে এই দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা।
হুঁশিয়ারি দিয়ে আহতদের জানান, তাদের জীবন থাকতেই আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর পুনর্বাসন কোনভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। রাজপথে অবস্থানকালেই জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে। আহতদের চিকিৎসা নিশ্চয়তা দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসতে হবে। যতদিন পর্যন্ত তাদের সব দাবি পূরণ হবে না, ততদিন পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
আহতরা আওয়ামী লীগকে ভারতের রাজাকার আখ্যা দিয়ে বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধের নামে নাটক নয়, আইনের প্রয়োগ ঘটিয়ে দলটিকে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়া তারা রাজপথ ছাড়বেন না।
এর আগে, শনিবার (১০ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে। এর পাশাপাশি আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ছাত্র জনতা। পরদিন শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে শাহবাগ অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। দলটি নিষিদ্ধের দাবিতে আয়োজিত ওই সমাবেশে এনসিপি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ইসলামি সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। শাহবাগে লাগাতার অবরোধের ফলে গতকাল শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বিচার চলাকালীন সময় পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বতী সরকার।