ঢাকা: দেশের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে দেশের ১৩টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পাঠক্রমে আন্তর্জাতিক শ্রম মান যুক্ত করতে যাচ্ছে এসব বিশ্ববিদ্যালয়। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
রোববার (১১ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সম্প্রতি এই চুক্তি সই হয়েছে বলে জানানো হয়।
সমঝোতা স্মারকটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ, অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইউনিভার্সিটি, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম এবং প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধিদের মধ্যে সই হয়।
স্মারক সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, আজকের দিনটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। কারণ আইএলও এবং ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শ্রম আইন পাঠ্যক্রমের সাথে আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ড একীভূত করার জন্য প্রভাষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একত্র হয়েছে।
সচিব আশা প্রকাশ করেন, শ্রম বিচার বিভাগ এবং পরিদর্শকদের জন্য অনুরূপ সক্ষমতা বৃদ্ধির সূচনা করার জন্য এটি একটি ভালো ভিত্তি হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই উদ্যোগটি কেবল বাংলাদেশে শ্রম আইনের পাঠ্যক্রমকে এগিয়ে নেবে না বরং সামাজিকভাবে সচেতন শ্রম আইনজীবীদের একটি নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য প্রভাষকদের সক্ষম করবে – যারা শ্রম বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বাংলাদেশের শ্রমিকদের মুখোমুখি বাস্তবতার সাথে গভীরভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশে আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন বলেন, ‘উদ্যোগটি আইএলওর প্রতিশ্রুতির একটি অংশ। বাংলাদেশের আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এই উদ্যোগে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং আমরা শীঘ্রই দ্বিতীয় দলগত চুক্তি সইয়ের প্রত্যাশা করছি।’
প্রসঙ্গত, উদ্যোগটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ডেনমার্ক, সুইডেন এবং নেদারল্যান্ডসের অর্থায়নে টিম ইউরোপ ইনিশিয়েটিভ (টিইআই) অন ডিসেন্ট ওয়ার্ক ইন বাংলাদেশ (এডিডব্লিউআইবি) প্রকল্পের একটি অংশ। এই প্রকল্পের একটি মূল বৈশিষ্ট্য হলো বাংলাদেশের শ্রম আইনগুলোকে আইএলএস-এর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এবং এসব আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করা।