ঢাকা: রাজধানীর রামপুরায় মাদক নিয়ে দ্বন্দে মারধর করে নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের ফাকা জায়গা দিয়ে পড়ে কবির হোসেন শিকদার (৩৫) নামে এক রিকশাচালক মারা গেছেন। তবে পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যা করে ভবন থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১১ মে) ভোর ৪টার দিকে রামপুরা কুঞ্জবন মনোয়ারা মসজিদের পাশে একটি নির্মাণাধীন দশ তলা ভবনে ঘটনাটি ঘটে। মুমূর্ষ অবস্থায় প্রতিবেশীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক ভোর ৫টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে প্রতিবেশী মো. পলাশ জানান, রাতে বিপ্লব ও আরিফের সঙ্গে নির্মানাধীন ভবনের চার তলায় ছিল কবির। রাত ৩টার দিকে এলাকার বড় ভাই কবিরকে ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে তারা ইয়াবা সেবন করে। কবির চার তলায় এক রুম থেকে অন্যরুমে যায়। কিছুক্ষণ পর একটা শব্দ শোনা যায়। নিচে গিয়ে দেখা যায়, কবির ভবনের লিফটের ফাকা জায়গায় পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানীয় ফরায়েজি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঢাকা মেডিকেলে মৃত কবিরের বড় ভাই আবুল হোসেন জানান, তাদের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার আন্ডারচড় গ্রামে। বাবার নাম আলমগীর শিকদার। বর্তমানে পূর্ব রামপুরা নিরিবিলি গলিতে থাকতো৷ কবির ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাতেন। তবে তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘শনিবার বিকাল ৫টার দিকে রিকশা নিয়ে বের হয় কবির। ভোরে নিরিবিলি গলিতেই রিকশা নিয়ে গ্যারেজে ঢুকে। তখন একটি ফোন পেয়ে রামপুরা কুঞ্জবন এলাকায় যায়। সেখানে আগে থেকেই আরও কয়েকজন ছিল। পরে ভোর ৫টার দিকে মোবাইলের মাধ্যমে জানতে পারি কবিরকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দ্রুত হাসপাতালে এসে কবিরের মরদেহ দেখতে পাই।’
ভাই আবুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘ওই নির্মানাধীন ১০ তলা ভবনের চার তলায় তাকে মারধর করে নিচে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।’
এদিকে রামপুরা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত পাল বলেন, ‘জানতে পেরেছি রামপুরা কুঞ্জবন এলাকায় ভবন থেকে নিচে পড়ে মারা গিয়েছে ওই ব্যক্তি। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ করা হয়েছে তাকে উপর থেকে নিচে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।’