Sunday 20 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গাজীপুরে ‘তামাশা’র নির্বাচন প্রত্যাখ্যান বিএনপির


২৭ জুন ২০১৮ ১৪:২১

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ‘তামাশা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে ওই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান। এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকে ফের নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের নামে তামাশা হয়েছে। ভোট ডাকাতির নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার করে তা প্রয়োগ করা হয়েছে। আমরা গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। এই নির্বাচনের ফল বাতিল করে ফের নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানাচ্ছি।’

স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ভোট ডাকাতির মাধ্যমে সরকার নির্বাচনি ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করছে— এমন অভিযোগ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খুলনায় নতুন কৌশলে ভোট ডাকাতির ধারাবাহিকতায় গাজীপুরের ফল নিজেদের পক্ষে নিয়েছে সরকার। নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই নির্বাচন আরেক কলঙ্কময় অধ্যয় সংযোজন করলো। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার এভাবে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে সব ধরনের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সমাহিত করছে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন জাতয়ি নির্বাচনের পর ধারাবাহিকভাবে প্রায় প্রতিটি উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নজীরবিহীন ভোট ডাকাতির মধ্য দিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে সরকার। এর মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন কখনই সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের প্রার্থী ও দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলেও ইসি কিছুই আমলে নেয়নি। বিশেষ করে গাজীপুর পুলিশের পক্ষপাতিত্ব ও নির্যাতনের বিষয়ে বারবার অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ইসি তাদের নিজেদের আইনও প্রয়োগ করেনি। ইসির প্রত্যক্ষ সহযোগিতাতেই সরকার গাজীপুরে আমাদের বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে।

তবে আগামী স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতেও বিএনপি অংশ নেবে জানিয়ে দলের মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের নিলর্জ্জ-গণবিরোধী চরিত্র উন্মোচনের জন্য এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগেও আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়েছি; আগামীতে বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটিতেও আমরা অংশ নেবো। এসব নির্বাচনে এই জনবিচ্ছিন্ন সরকারের প্রকৃত চেহারা উন্মোচন হচ্ছে; নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতা ও পক্ষপাতিত্বও প্রমাণিত হচ্ছে।’

দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। একইসাথে আসন্ন নির্বাচনগুলোতে নির্বাচন কমিশনকেও তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে এবং জনগণকে এই ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিএনপি নেতা মেজর (অব.) মিজানুর রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা প্রচারণা শুরু করেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মেজর মিজানকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নীল নকশার অংশ হিসেবে। আমরা এই চক্রান্তের তীব্র নিন্দা জানাই। একইসাথে মেজর মিজানকে মুক্তি দেওয়ার জোর দাবিও জানাই।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর