ঢাকা: গত কয়েক দিনেও যেখানে সারাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানে এখন রাজধানী ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৩৬ ডিগ্রিতে। এর আগে শনিবার ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ।
রোববার (১১ মে) গতকালের চেয়ে ৪ ডিগ্রি কমে ৩৬ ডিগ্রিতে নেমেছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী গেল বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে গ্রীষ্ম মৌসুমে তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশী ছিল। টানা ৩৫ দিন ধরে বয়ে গেছে তাপপ্রবাহ। ওই সময়ে ঢাকার তাপদাহ নিয়ে একটি সমীক্ষা করে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি। তাপমাত্রা, জনসংখ্যার ঘনত্ব, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য এই চার বিষয়কে সামনে রেখে করা ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছিলো রাজধানীর ৯০ শতাংশ এলাকার মানুষ তাপপ্রবাহের ঝুঁকিতে।
শনিবারের তুলনায় আজ তাপমাত্রা কিছুটা কম। তাপমাত্রা কমলেও তীব্র তাপ অনুভূত হচ্ছে। অত্যাধিক তাপের কারণে মানুষ ঘরের বাইরে কম বের হচ্ছেন। যারা বেড়িয়েছেন তারা গরমে অস্থির হয়ে যাচ্ছেন।
রিক্সা চালক ইব্রাহিম সারাবাংলাকে বলেন, অন্য দিনগুলোতে দুপুর পর্যন্ত ৫ থেকে ৭ বার যাত্রি নিয়ে গিয়ে থাকেন। আজ সকাল থেকে দুই দফা যাত্রী পরিবহন করেছেন। গতকালও এই পরিস্থিতি ছিলো। প্রচন্ড গরমে অনেক কষ্ট হয়।
বাস চালক মামুনও বলেন, যাত্রী সংখ্যা কম। তাছাড়া ভেতরে প্রচন্ড গরম, ফ্যানে গরম দূর হয় না। যাত্রীরা বাসে উঠেই দ্রুত যেতে তাড়া দিতে থাকেন।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, অপরিকল্পিত নগরায়ন, গাছপালা না থাকা, জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়া, খোলা স্থান না থাকা আবার দিন দিন সুউচ্চ ভবন নির্মাণের কারনেও অন্য শহরগুলোর চেয়ে ঢাকায় গরম বেশী অনুভূত হয়।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহম্মদ আবুল কালাম মল্লিক সারাবাংলাকে বলেন, ‘গেল বছরের মতো রেকর্ড করা তাপপ্রবাহ এবার বয়ে যাবে না। তাপপ্রবাহ থাকবে তবে সেই সঙ্গে বৃষ্টি থাকার কারণে তাপ কম অনুভূত হবে। যেমন শনিবার ঢাকায় ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও রোববারে ৪ ডিগ্রি কম।’