ঢাকা: রাজধানীর তুরাগে পারিবারিক কলহে স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ রিজিয়া বেগম (৪২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
রোববার (১১ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন, বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, ওই নারীর শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মৃত নারীর ভাই মো. ছবদুল্লাহ শেখ জানান, তাদের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার পেলাখালি বড়বাড়ি গ্রামে। বাবার নাম মৃত শাহাদত শেখ। তার বোন স্বামী আবু সাঈদ (৫০) ও দুই সন্তান নিয়ে তুরাগ থানাধীন ১৫ নম্বর সেক্টর এলাকায় নজরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতো। তাদের ছেলে সোহাগ রিকশা চালায়। এক মেয়ে বিয়ে হয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, তার বোন জামাই আবু সাঈদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজ করতেন। আবার একদিন কাজ করলেও দুইদিন কাজে যেতেন না। আবার নেশাও করতেন। এসব বিষয় নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লাগতো। গত বুধবার (৭ মে) রাত ১০টার দিকে আবু সাঈদ স্ত্রী রিজিয়ার কাছে টাকা চায়। রিজিয়া জানান তার কাছে কোনো টাকা নেই। এ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আবু সাঈদ ঘরে থাকা কেরোসিন স্ত্রী রিজিয়া বেগমের শরীরে ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরে দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে এবং তাকে দ্রুত বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে। এলাকাবাসী আবু সাঈদকে ধরে পুলিশে দেয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিজিয়া বেগম।
এদিকে তুরাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) উজ্জল মিয়া বলেন,গত ৭ মে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী আবু সাঈদ স্ত্রী রিজিয়া বেগমের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।
এসআই আরও জানান, ঘটনার দিনই স্বামী আবু সাঈদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।