চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় চতুর্থ দিনের মত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গোটা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় নাকাল জনজীবন।
টানা চতুর্থ দিনের মত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং তীব্র ও অতি তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে জেলার সর্বস্তরে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা বাড়াকমার কারণে জনসাধারণের ঘরে বসবাস করাই মুশকিল হয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভ্যাপসা গরমে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। প্রচন্ড গরমে অনেকে নির্ঘুম রাত পার করছে। গরম আর বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের যন্ত্রনায় অসুস্থ্য হয়ে উঠছে মানুষ। রাস্তায় জনসাধারণের চলাচল কম দেখা যাচ্ছে। কাজ ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেনা।
রোববার (১১ মে) চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৬ শতাংশ। এদিন দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩১ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, গত শুক্রবার (৯ মে) দুপুর ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৮ শতাংশ, শনিবার (৩ মে) দুপুর ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৪ শতাংশ।
সোমবার (৫ মে) বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৪ শতাংশ।
বুধবার (৭ মে) দুপুর ১২ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৮ শতাংশ।
৪ ও ৬ মে তাপমাত্রা কম থাকায় এ দু’দিন রেকর্ড করা হয়নি। বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪০ শতাংশ,এদিন দুপুর ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ এবং সন্ধ্যা ৬টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫১ শতাংশ।
আগামী সোমবার (১২ মে) থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে বলে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সূত্রে জানা যায়। তবে তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে সূত্রটি জানায়।