ঢাকা: সদ্য পদত্যাগ করা অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেলস এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সবুজ মুন্সীকে নিয়ে গণমাধ্যমে ভুল তথ্য দেওয়া সংগঠনটির মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ্কে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি সবুজ মুন্সীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. সেলিম মিয়া এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। সোমবার (১১ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৭ মে আটাব কার্যনির্বাহী পরিষদের পদত্যাগ করা সদস্য সবুজ মুন্সী আটাব মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ্কে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও তথ্য গোপন করে প্রেস রিলিজ দিয়ে গণমাধ্যগুলোকে বিভ্রান্ত করে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে তার সুনাম নষ্ট করার কারণে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। সবুজ মুন্সীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. সেলিম মিয়া এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
ওই নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন, আমার মোয়াক্কেল একজন স্বনামধন্য ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বটে। তিনি অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেলস এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) এর সম্মানিত সদস্য এবং দুই বার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। গত ২৪ এপ্রিল আটাব কার্যনির্বাহী কমিটির বিরুদ্ধে সাধারণ সদস্যদের কর্তৃক অভিযোগ দায়ের হওয়ায় তিনি বিব্রত বোধ করায় পদত্যাগ করেন। ২৬ এপ্রিল কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয় মর্মে আপনি পত্র মারফত তাকে অবহিত করেন।
নোটিশে বলা হয়, একইদিনে আপনি নোটিশ গ্রহীতা আটাবের পক্ষে একটি প্রেস রিলিজ দেন। যেখানে আপনি তার পদত্যাগের বিষয়টি গোপন রেখে আপনারা অব্যহতি দিয়েছেন মর্মে বুঝানোর চেষ্টা করেন, যাতে গণমাধ্যমগুলো বিভ্রান্ত হয়ে ভুল সংবাদ প্রচার করেছে। আপনি প্রেস রিলিজে উল্লেখ করেছেন যে, আটাব সদস্য সবুজ মুন্সী সরকারের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি কর্তৃক টিকেট সিন্ডিকেট, নামহীন টিকেট বুকিং ও মজুতদারী, কৃত্রিম সংকট তৈরি ও চড়া দামে টিকেট বিক্রয়ের অভিযোগে লাইসেন্স কেন বাতিল হবে না মর্মে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। কিন্তু তদন্ত কমিটির চিঠিতে সিন্ডিকেট, মজুতদার, কালোবাজারী শব্দগুলো উল্লেখ নেই। আপনি বাড়তি কিছু নেতিবাচক শব্দ যুক্ত করে আমার মোয়াক্কেলের সম্মানহানী, ব্যবসায়ীক সুনাম নষ্ট করেছেন এবং চরমভাবে ব্যবসায়িক ক্ষতি সাধন করেছেন।
আইনজীবী নোটিশে উল্লে করেনখ করেন, আপনি আরও উল্লেখ করেছেন আমার মোয়াক্কেল আটাব কার্যনির্বাহী সদস্য হওয়ার দরুণ কমিটির কাছে সহযোগিতা চেয়েছিল। কিন্তু আমার মোয়াক্কেল কারও কাছে লিখিত কিংবা মৌখিক সহযোগিতা চাননি। আমার মোয়াক্কেল এমন কোনো অপরাধ করেননি যার জন্য আটাব সভাপতি, মহাসচিব, কিংবা অন্য কারো কাছে সহযোগিতা চাইতে হবে। অন্যদিকে, বিষয়টি যেহেতু সরকারের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটির কাছে বিচারাধীন রয়েছে, আপনার এ বিষয়ে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে মিথ্যাচার করা আইনসঙ্গত নয়। আপনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার মোয়াক্কেলের ক্ষতিসাধনের জন্য সঠিক তথ্য গোপন করে মিথ্য ও মানোয়াট কল্পকাহিনী সাজিয়ে প্রেস রিলিজ করে আমার মোয়াক্কেলের সম্মানহানি, ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট ও ক্ষতিসাধন করায় কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, নোটিশ প্রাপ্তির সাত কার্য দিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হইল।
নোটিশে আরও বলা হয়, আমার মোয়াক্কেল আশা পোশন করেন যে, উক্ত লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির সাতদিনের মধ্যে বিগত ২৬ এপ্রিল তারিখের বক্তব্য ভুল স্বীকার করে পুনরায় প্রেস রিলিজ করে আপনার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিবেন। এবং নোটিশ দাতা আর্থিকভাবে ব্যবসায় যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তা আলোচনা করে পরিশোধ করিবেন। অন্যথায় আমার মোয়াক্কেল আপনার বিরুদ্ধে তথ্য গোপন, সুনাম ক্ষুন্নের বিষয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৯/৬২ ধারা এবং বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৫০০/৪২০ ধারার অপরাধের কারণে দেওয়ানী ও ফৌজদারি মামলাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যার দায় দায়িত্ব আপনাকেই বহন করতে হবে।