চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজত্ব বাংলাদেশে আর চলবে না, আমরা সবাই মিলে দেশ গড়বো।
রোববার (১১ মে) সকালে বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে ‘সম্মিলিত বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপন পরিষদ’র শান্তি শোভাযাত্রা ও সমাবেশে তিনি একথা বলেন। ৬১টি সংগঠনের অংশগ্রহণে এ শোভাযাত্রা নগরীর ডিসি হিলের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিচালিত হবে প্রত্যেকটি নাগরিকের অংশগ্রহণ এবং মতামতের ভিত্তিতে। প্রত্যেকটি নাগরিকের পরিচয় হচ্ছে বাংলাদেশি। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। এ রাষ্ট্রে, এ সমাজে, এ দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না।’
‘আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে সমাজ, দেশ, রাষ্ট্র গড়বো। এখানে বিভক্তির কোনো সুযোগ নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজত্ব বাংলাদেশে আর চলবে না, আমরা সবাই মিলে দেশ গড়বো।’
তিনি বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে এনেছিলেন এজন্যই। এদেশে বসবাসরত সমস্ত মানুষ আমরা বাংলাদেশি। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার এ কথাটা পরিষ্কার। আমরা মেসেজ দিতে চাই, এ দেশ সবার। সবাই মিলে গড়তে হবে।’
‘মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু অন্যের মতকে সম্মান দিতে হবে। মত ভিন্ন থেকেও আমরা একসঙ্গে চলতে পারবো, সম্মান জানাতে পারবো, কোনো অসুবিধা নেই। সবাইকে সহনশীল হতে হবে।’
দেশের জনগণ এখন একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সমাবেশে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রামকে আমরা ক্লিন, গ্রীন, হেলদি সিটির পাশাপাশি একটি শান্তির শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম কিংবা খ্রিস্টান আমরা সবাই সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। অতীতেও চট্টগ্রামে যখনই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ভূমিকা রাখতে হয়েছে, আমরা সাহসিকতার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করেছি। ভবিষ্যতেও সে ঐতিহ্য বজায় রাখব। ধর্মীয় ভিন্নতার কারণে এই শহরে কেউ বৈষম্যের শিকার হবেন না, সেটি আমরা নিশ্চিত করবো।’
পরিষদের সভাপতি প্রাক্তন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রিটন কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন, আর কে কে বাংলাদেশের ব্রাঞ্চ মিনিষ্টার মি. মরি মাসানোবু, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী।