ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরির অভিযোগে এক নারীসহ দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। চক্রের পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রোববার (১১ মে) দুপুরে আটকদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের পাঁচপীড় ডাঙ্গা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি ঘটনায় তাদের ধরা হয়।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, শনিবার (১০ মে) সকালে কবরস্থান পরিষ্কারের সময় গ্রামের কয়েকজন দেখেন ১০ থেকে ১২টি কবর খোঁড়া অবস্থায় রয়েছে। এসময় কয়েকজনকে কবরস্থানের আশপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। সন্দেহ হলে মো. আজিজুল ইসলাম (৩২) ও মোছা. রিনা বেগম (৩৫) নামের দুজনকে আটক করা হয়।
অভিযুক্ত পলাতকরা হলেন— সালন্দর পাঁচপীর ডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মো. আরিফ (৩৫) ও টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাই থানার কিরন বাজারের শহিদুল ইসলাম (৪৫)।
পুলিশ জানায়, আটক দুই ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কঙ্কাল চুরির কথা স্বীকার করেছেন। তারা বিগত কয়েক বছর ধরে কবর খুঁড়ে কঙ্কাল ও হাড়গোড় চুরি বিক্রি করে আসছেন। ওইদিনও চুরির উদ্দেশ্যেই তারা কবরস্থানে আসেন।
ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা মো. আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় চার ব্যক্তির নামসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমার চাচাসহ আত্মীয়স্বজনদের কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে। এমন জঘন্য ঘটনা ভাবতেও গা শিউরে ওঠছে।’
ঘটনার সময় গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে আটক দুজনকে বেধড়ক মারধর করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় নিয়ে যায়।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরোয়ারে আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আটক দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পলাতকদের ধরতে অভিযান চলছে।