ঢাকা: মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার দায়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের সব অধিকার খর্ব করেছিল বলেই সবার সঙ্গে পরামর্শ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এমন কেউ নেই যে বড় ধরনের লুটপাটে জড়িত ছিলেন না। বাংলাদেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ। মানুষ শেষ কবে ভোট দিয়েছিল ভুলে গেছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার দায়ে। তারা দেশের মানুষের সব অধিকার খর্ব করেছিল। অভ্যুত্থানের পক্ষের সবার সঙ্গেই পরামর্শ করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার কারণে বাংলাদেশের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, ‘জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ১৪০০ মানুষকে হত্যার তথ্য উঠে এসেছে। আমাদের হিসেবে এই সংখ্যা আরও বেশি। কিন্তু আওয়ামী লীগের মধ্যে এ নিয়ে কোনো অনুশোচনা নেই। তাদের সময় তারা যে কাউকে জঙ্গি বানিয়েছে। এখন নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি সবাই গ্রহণ করে নিয়েছে। হয়তো এটা নিয়ে দু-একটি কথা থাকতে পারে, সেটা বড় কিছু নয়। কারণ আপনারা পত্র পত্রিকায় দেখেছেন যে, জুলাই অভ্যূথ্থানে ১৪০০ লোক শহিদ হয়েছেন। কিন্তু সংখ্যাটা প্রায় ২০০০ হাজারের মতো হবে। যদি ১৪০০-ও ধরি, আওয়ামী লীগের একজন নেতাকর্মী, কাউকেই কি দেখেছেন এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন? বা কারও কি কোনো অপরাধ বোধ আছে? সুতরাং শুধু বাংলাদেশের চাওয়া নয়, পুরা বিশ্ব এটাই চেয়েছে যে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক।