ঢাকা: জুলাই গণহত্যার মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার উসকানি ও প্ররোচনাসহ সরাসরি নির্দেশসহ পাঁচটি অভিযোগ এনেছে তদন্ত সংস্থা।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান। এদিন সকাল ১১টার দিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটর, তদন্ত কর্মকর্তাসহ তিনজন।

সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগটি হলো-১৪ জুলাই রাজাকারের বাচ্চা বলে ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে উসকানি দেন শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তার প্ররোচনায় ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দ্বিতীয়টি তিনি মোবাইলসহ সরাসরি হত্যার নির্দেশ দেন। ফলে হেলিকপ্টার, ড্রোনসহ বিভিন্নভাবে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। বাকি তিনটি অভিযোগ সুনির্দিষ্ট ঘটনার প্রেক্ষিতে আনা হয়।
এর আগে, ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।