ঢাকা: বহুল আলোচিত রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় দ্বিতীয় দিনের মতো পড়া শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ রায় পড়া শুরু হয়।
এর আগে, ৮ মে প্রথম দিন মামলার সাক্ষ্য ও জেরাসহ অংশিক রায় পাঠ করা হয়। বাকি অংশ ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
এদিন আদালতে আসামিদের পক্ষে রয়েছেন আইনজীবী এসএম শাহজাহান ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
২০১৪ সালের ২৩ জুন এ মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন। রায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ আটজনের ফাঁসি ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- মাওলানা তাজউদ্দিন, মওলানা আকবর হোসেন, মুফতি আব্দুল হাই, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মুফতি শফিকুর রহমান ও মাওলানা আরিফ হাসান সুমন। এর মধ্যে মুফতি আবদুল হান্নানের পৃথক একটি মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হাফেজ মওলানা আবু তাহের, মওলানা সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির, হাফেজ মওলানা ইয়াহিয়া, মওলানা আব্দুর রউফ, শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল ও মওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ।
২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুরু হয় মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি।একই বছরের ১৪ মার্চ চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করা হয়। এর মধ্যেই মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন আদালত। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ এসএম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চে যায়।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত হন। আহত হন অনেকে। পরে এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়।