নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান ১১ মামলার আসামি জাকির হোসেনকে (৩৯) খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে মরদেহ গুম করার সময় জনতা দুইজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে চৌমুহনী পৌর এলাকার পলোয়ানের পোল এলাকার একটি খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জাকির হোসেন সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের রফিক উল্যাহ মিস্ত্রির ছেলে। সে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটকরা হলেন— আবুল বাশার বাবু (৩৮) ও আনোয়ার হোসেন বাবু (৩৬)। মরদেহ গুম করার সময় তাদের স্থানীয় আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
জানা গেছে, দুপুরে সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর বাজারে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির একটি ভেকু মেশিনের পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে জাকিরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত জাকিরের বাড়িতে গিয়ে তাকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। বিকেলে উপজেলার পলোয়ানপোল এলাকায় সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা থেকে জাকিরের মৃতদেহ খালে ফেলে দেওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখতে পায়। এসময় লোকজন ধাওয়া করে আটোরিকশাচালক আনোয়ার হোসেন বাবু ও আবুল বাশার বাবুকে নামে দুইজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোর্শেদ আলম বলেন, ভেকু মালিক নজরুলের সঙ্গে জাকিরের ঝামেলার কথা শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, তারা ফিরে আসলে বিস্তারিত জানা যাবে। নিহত জাকিরের বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাইসহ সোনাইমুড়ী থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, নিহতের মরদেহ খাল থেকে উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক দুইজনকে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।