নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের শ্যামের ঘাট এলাকার বেইলি সেতুটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ শহীদ জিয়া সড়কের ওপর নির্মিত এই সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় পড়ে আছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন শত শত যানবাহন ও পথচারী এই সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ভারত থেকে আসা বুড়ি তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত বেইলি সেতু বয়স কয়েক দশক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেতুর লোহার পাত নষ্ট গেছে। পাটাতনগুলো মরিচা ধরে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত হয়ে গেছে। এতে যানবাহনের চাকা গর্তে ঢুকে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তবুও টনক নড়েছে না কর্তৃপক্ষের।
বালাপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা জাফর হোসেন জাকির বলেন, ‘ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অনেক আগেই জানিয়েছি। সর্বশেষ গত ৫ মে গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমন অবহেলায় যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”
বেইলি সেতুর গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘এই সড়ক দিয়েই ডিমলা থেকে ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ট্রেন স্টেশনে যাতায়াত করতে হয়। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই পথ ব্যবহার করেন। কিন্তু সেতু এমন অবস্থায় সবাই আতঙ্ক নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।’
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা অনেকবার জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোনো কাজ হয়নি। কেউ মারা না গেলে বুঝি এই সেতু সংস্কার হবে না।’
বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমার ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে কয়েকবার ব্রীজটি মেরামত করেছি। কিন্তু সেটা স্থায়ী সমাধান নয়। আমি প্রতিনিয়ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানালেও উপজেলা প্রকৌশলী কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ নিচ্ছেন না।’
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরানুজ্জামান বলেন, ‘সেতুটি পরিদর্শন করে দ্রুত সংস্কার ও চলাচলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ডিমলার গুরুত্বপূর্ণ শহীদ জিয়া সড়কের এই বেইলি ব্রীজটি অবিলম্বে সংস্কার না করলে সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে— এমনটি মনে করছেন এলাকাবাসী।