Tuesday 13 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিলেটে ইউপি চেয়ারম্যানকে ‘গণপিটুনি’ দিয়ে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

ডিস্ট্রিক্ট করসপন্ডেন্ট
১৩ মে ২০২৫ ২২:৩৫ | আপডেট: ১৩ মে ২০২৫ ২২:৪০

করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নির্মলেন্দু দাশ রানা

সিলেট: জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নির্মলেন্দু দাশ রানাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে ছাত্র-জনতা।

মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ৯ টায় সিলেট নগরীর রিকাবীবাজারের ফাতেমা রেস্টুরেন্ট থেকে তাকে ঘেরাও করে ছাত্র-জনতা।

এরপর গণপিটুনি দিয়ে মদন মোহন কলেজ এলাকায় নিয়ে যায়। একপর্যায়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কতোয়ালী মডেল থানা পুলিশকে ঘটনা জানানো হলে, লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ি উপপরিদর্শক (এসআই) আলী হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের হাতে সোপর্দ করা হয় তাকে।

স্থানীয় সূত্র জানা যায়, পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সময়ে নিজ ইউনিয়ন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে অনিয়ম দুর্নীতির খবর প্রকাশ হলেও তিনি ছিলেন বেপরোয়া।

জানা যায়, অবৈধভাবে ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০২৪ সালে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা সাইদুর রহমান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, করগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু দাশ রানা ওই ইউনিয়নের মাধবপুর, পাঞ্জারাই, টুকের বাজার, শেরপুর বৈলাকিপুর এলাকার এলজিআরডির বিভিন্ন রাস্তার গাছ কেটে গোপনে বিক্রি করে ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।

এ ছাড়া ওই ইউনিয়ন পরিষদের ২০২২ সালের ট্যাক্সের ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭০ টাকা এবং ২০২৩ সালে ট্যাক্সের ১ লাখ ৪১ হাজার ১৭০ টাকাসহ মোট ১৯ লাখ ৮ হাজার ৫৪০ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু দাশ রানা চেয়ারম্যান নির্বাচন হওয়ার পর থেকে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে তার পছন্দের ইউপি সদস্যদের নিয়ে ইউনিয়নের সরকারি গাছ কেটে বিক্রি ও ট্যাক্সের টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

গত ৫ আগস্ট দেশে সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর জামায়াতে ইসলামীর নেতার মামলায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি হওয়ায় আত্মগোপনে চলে যান চেয়ারম্যান রানা। এরপর থেকে চেয়ারম্যান রানার অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ ও রানাকে অপসারণের দাবিতে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়সহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ি উপপরিদর্শক (এসআই) আলী হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তার বিরুদ্ধে বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে।

সারাবাংলা/এইচআই

ইউপি চেয়ারম্যান গণপিটুনি ছাত্র-জনতা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর