পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে গেল রফতানি করা ৭৭৭ মেট্রিক টন এস্টারিক্স আলু। এ পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে মোট ১২ হাজার ৬৬৩ মেট্রিক টন আলু নেপালে রফতানি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে তথ্যটি নিশ্চিত করেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন।
জানা যায়, আলুগুলো রফতানি করে থিংকস টু সাপ্লাই, ফাস্ট ডেলিভারি, সুফলা মাল্টিপ্রোডাক্ট লিমিটেড, স্বাধীন এন্টার প্রাইজ, ক্যারজ এগ্রো, মাইসা কোল্ড স্টোরেজ ও ইসান এগ্রো ফার্ম। আলুগুলো উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করে ৩৭ ট্রাকে (প্রতি ট্রাকে ২১ মে.টন) নেপালের কাকরভিটা এলাকায় পাঠানো হয়।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বাংলাদেশের আলুর নেপালে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমরা নিয়মিত আলু নেপালে রফতানি করছি।’
ক্যারোস এগ্রো কনসার্ন অব এম আর জে এন গ্রুপের মালিক কে এম নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন এলাকার থেকে ভাল মানের আলু সংগ্রহ করে নেপালের রফতানি করি। আমরা যদি ভাল মানের আলু নেপালে রফতানি করতে পারি তাহলে আমরা সবাই লাভবান হবো।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগে ২০ শতাংশ ইনসেফটি পেতাম সরকারের পক্ষ থেকে; সেটা এখন ১০ শতাংশ এ নেমে এসেছে। এটা যদি সরকার বাড়াতো তাহলে আমরা অনেক লাভবান হতাম।’
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন জানান, রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো আলুগুলো সংগ্রহ করে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ইয়ার্ডে প্রবেশ করলে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরে নেপালে পাঠানোর জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়।