ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের (আইইয়ার) ২৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে সমাবেশ করেছে ইনিস্টিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় ভিসির বাসভবনের সামনে সমাবেশ করেছে তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘বহিরাগত মুক্ত ক্যাম্পাস চাই’, ‘নিরাপদ ঢাবি চাই’, ‘ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চাই’সহ নানা ফেস্টুন লেখা দেখতে পাওয়া যায়।
এ সময় আইআর এর শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘সাম্য আমার বিভাগের শিক্ষার্থী এবং আমার উপজেলার একজন বাসিন্দা। কিছুক্ষণ আগেই তার লাশ দেখে এসেছি। তার বাবা ও সহপাঠীরা সেখানে ছিলেন। আমার কাছে মনে হয়েছে সে আমার সন্তানের মতো। ক্যাম্পাসে আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তার দাবি আজই প্রথম না। আমরা কবে ক্যাম্পাসে আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব কর্তৃপক্ষের নিকট আমরা জানতে চাই।’
এ সময় আইআর এর ২৫তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী উক্ত ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে দাবি করে বলেন, সাম্যের সাথে যা ঘটেছে তা যেন আর কারোর সাথে না ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্হা করে। আর কারোর জন্য যেন ভিসির বাসভবনের সামনে আমাদের না দাড়াঁতে হয়।
২৫ তম বাচের আরেক শিক্ষার্থী শাহেদুর রহমান বলেন, ‘কাল রাত ১১টার দিকে নবীনবরণ শেষ করে আমরা ৬ জন বন্ধু ভিসি চত্বরে ছিলাম। সাম্যের লাস্ট কথা ছিলো, দুই মিনিট দাড়া আমি আসছি। তারপর আমি তাকে আর আসতে দেখিনি, আমরা তার লাশ দেখেছি।’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ‘বিষফোঁড়া’ দাবি করে শাহেদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষফোঁড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পাঁচশত অবৈধ দোকান, মাদকের আড্ডা আর পাগলের বসবাসের স্থান। আমরা আর কোনো সাম্যর মৃত্যু চাই না। সাম্যর মতো কোন বন্ধু বা ছোট ভাই আমি আর হারাতে চায় না। আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্হায়ী সমাধান চায়। আপনারা পাশে থাকলে আমরা সবাই মিলে মাদকের আড্ডা গুড়িয়ে দিতে চায়।
একই ব্যাচের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী শিক্ষার্থী লাশের রাজনীতি বন্ধের দাবি করে বলেন, সাম্যের লাশ নিয়ে যে দলীয় বিভাজন আপনারা করছেন তা করবেন না। আপনারা যখন লাশ নিয়ে দলীয় বিভাজন করবেন তখন শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বিভাজন তৈরি হবে।