Wednesday 14 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গাউন টুপি পরে সমাবর্তনের গ্রাফিতিতে হৃদয়-তরুয়া

চবি করেসপন্ডেন্ট
১৪ মে ২০২৫ ১৫:২২ | আপডেট: ১৪ মে ২০২৫ ১৭:৫৬

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনের গ্রাফিতিতে মাঝে শহিদ চন্দ্র তরুয়া, ডানে মো. ফরহাদ হোসাইন ও বামে ফাহিম আহমেদ পলাশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: শিক্ষা জীবন শেষ করে গাউন টুপি পরে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করা প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে সেই স্বপ্ন পূরণ হয় না। সময়ের পরিক্রমায় তারা ইতিহাসের অংশ হিসেবে সবার স্মৃতিতে বেঁচে থাকে।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শহিদ চবির ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া ও ফরহাদ হোসাইন এবং বন্যায় নোয়াখালীতে ত্রাণ দিতে গিয়ে নিহত হওয়া পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম আহমেদ পলাশও তেমনিভাবে বেঁচে আছেন সমাবর্তনের গ্রাফিতিতে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৪ মে) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন হতে যাচ্ছে। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

সমাবর্তনে অংশ নেওয়া সমাবর্তীরা কালো গাউন, টুপি পরে তুলছেন ছবি। কেউ নিয়ে এসেছেন তাদের বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান। তাদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সবুজঘেরা এই ক্যাম্পাসে। এমন মুহূর্ত আসতে পারতো পলাশের জীবনেও। তবে চবির ২০১৮-১৯ বর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগে শিক্ষার্থী ফাহিম আহমেদ পলাশ তার আগেই গতবছরের ৪ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে চলে যান।

অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ হওয়া হৃদয় চন্দ্র তরুয়া ছিল চবির ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আর শহিদ মো. ফরহাদ হোসাইন ছিল একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বেঁচে থাকলে হয়ত তারাও সমাবর্তনের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেন।

তবে তারা বেঁচে না থাকলেও তাদের স্মৃতি বাঁচিয়ে রেখেছে সহপাঠী ও বন্ধুরা। চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের পাশের একটি দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতিতে ফিরে এসেছেন ফরহাদ-তরুয়া-পলাশের স্মৃতি। ওই গ্রাফিতিতে ফুটে উঠেছে তিন তরুণের মুখ।
তারাও গাউন ও টুপি পরা। হাতে সনদ। মাঝখানের তরুণের নাম হৃদয় চন্দ্র তরুয়া। তার ডান পাশে মো. ফরহাদ হোসাইন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহিদ তারা। হৃদয়ের ডান পাশে ফাহিম আহমেদ পলাশ। গত বছর নোয়াখালীতে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।

বিজ্ঞাপন

ছবি তুলতে আসা সমাবর্তীরা বলছেন, ‘এই সমাবর্তনে হয়তো ফাহিমও আমাদের সাথে থাকতো। আর হৃদয়-ফরহাদও সমাবর্তনে আমাদের সাথে আনন্দ করতে পারতেন। তবে এই সাহসী তিন তরুণ আজ নেই। তারা হয়ে গেছেন ইতিহাসের অংশ। তাই তাদের স্মৃতি ধরে রাখতে আঁকা গ্রাফিতি আবারও তাদের ফিরিয়ে এনেছে আমাদের মাঝে।’

সারাবাংলা/এমআর/এনজে

গ্রাফিতি চবি সমাবর্তন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর