ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় শাহবাগ থানা ঘেরাও করেছেন একদল শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (১৬ মে) আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে জড়ো হন। পরে সাড়ে ১১ টা নাগাদ ‘বাংলাদেশের সাধারণ ছাত্রসমাজ’ ব্যানারে তারা ভাস্কর্যে জড়ো হন। পরে এখান থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ থানা ঘেরাও করেন।
সর্বশেষ দুপুর ১ টা পর্যন্ত শাহবাগ থানা ঘেরাও করে রেখেছেন। এদিকে শাহবাগ থানার ফটকে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মিছিলে তারা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ একাধিক বিষয়ে স্লোগান দেন।
সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল আসামিকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার, সুষ্ঠু বিচার এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানান তারা।
ঘেরাওয়ের পর আলোচনার জন্য একটি প্রতিনিধি দল থানার ভেতর গিয়েছেন। এই দলে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সালাম, ড. অসীম দাস, ড. সিরাজুল ইসলাম রয়েছেন। এছাড়া ছাত্রদের থেকে চারজন প্রতিনিধি রয়েছেন।
শিক্ষা ও গবেষনা ইনিস্টিউটের ২৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম মুন্সী বলেন, এটি একটি নির্দলীয় ব্যানার। সাম্য ভাইয়ের লাশ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল টালবাহানা শুরু করেছে। তাদের মূখ্য দাবি বিভিন্ন জনের পদত্যাগ। কিন্তু আমাদের প্রধান দাবি সাম্য হত্যার বিচার।
তিনি বলেন, সাম্য হত্যার ৭২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও তাকে যে ছুরিকাঘাত করেছিল, তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। আমরা এখানে কাউকে হামলা করতে আসিনি, কাউকে পদত্যাগের দাবি জানাতে আসিনি। আমরা প্রধান আসামি গ্রেফতার ও বিচারের দাবি নিয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বাকি দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতার না করতে পারলে আমরা শাহবাগ থানা ঘেরাও কর্মসূচি দিব।
সাম্যের সহপাঠী তৌফিক-উল ইসলাম বলেন, সাম্য হত্যার প্রধান আসামিকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি, গ্রেফতারের প্রচেষ্টাও দেখছি না। পুলিশ যাদের গ্রেফতার করেছে তারা জড়িত থাকলেও তারা প্রধান আসামি না। বাকি আসামিদের কেন ধরা হচ্ছে আমাদের কাছে তার জবাবদিহি করতে হবে।
৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার না করলে এই অহিংস আন্দোলন অন্য রূপ নিবে বলে হুশিয়ারি করেন তৌফিক।