ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব আলাউদ্দীন মোহাম্মদ বলেছেন, চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান এনসিপির রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। আর এই গণঅভ্যুত্থানই এনসিপি প্রতিষ্ঠার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
শুক্রবার (১৬ মে) মালেশিয়ার কুয়ালামাপুরের একটি হোটেলে নতুন রাজনৈতিক দলের কাছে প্রবাসীদের প্রত্যাশা শীর্ষক একটি আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
এনসিপি মালয়েশিয়া চ্যাপ্টারের উদ্যোগে সভার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব আলাউদ্দীন মোহাম্মদ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক অ্যাডভোকেট আলী নাছের খান।
আলাউদ্দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো যখন বাংলাদেশের স্বৈরতন্ত্রের জাল ভেদ করতে পারেনি তখন এনসিপির আজকের তরুণ নেতৃত্বই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জীবন বাজি রেখে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। তাই পরিপূর্ণ সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এনসিপি স্বোচ্চার থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘এনসিপির জন্মের পূর্ব থেকেই তার নেতারা গণবিরোধী ও বহিঃরাষ্ট্রের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী অবস্থান নিয়ে এখানে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনীতির ভিত রচনা করেছে। এনসিপি আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশের জনগণের সম্মতির বাইরে কোনো দেশের বা বহিঃরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ প্রতিরোধের মাধ্যমে তার রাজনীতি চালিয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এনসিপি অতীতে জাতীয়তাবাদের নামে, পরিচয়ের নামে, ধর্মের নামে, আদর্শের নামে জাতিকে বিভক্ত রাখার রাজনীতিকে খারিজ করে বিরল ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করেই স্বৈরতন্ত্রের উৎখাত করেছিল। আগামী দিনগুলোতেও বৈচিত্র্যের মধ্যে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমেই এনসিপি বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল এনসিপি গণঅভ্যুত্থানকারী প্রজন্মের প্রতিনিধি যারা যেকোনো মূল্যে এই প্রজন্মের মূল্যবোধ ও আশা আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ তৈরি করতে চায়। আজকের তরুণ আগামী দিন জাতির হাল ধরবে। তাই তরুণদের রাষ্ট্রগঠনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ গঠনই এনসিপির আগামীর রাষ্ট্রকল্প।’
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি অ্যাডভোকেট আলী নাছের খান এনসিপির আগামীর কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, ‘নাগরিক অধিকারভিত্তিক রাজনীতি, যেমন নাগরিকদের প্রাইভেসি, মতামত নেওয়ার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ, নাগরিক অধিকার, সেল্ফ রেস্পেক্টসহ ইত্যাদি নাগরিক অধিকারভিত্তিক বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মূলধারায় যুক্ত করার জন্য কাজ করে যেতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্সের মালয়েশিয়া চ্যাপ্টারের সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. এনামুল হক। উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া চ্যাপ্টারের নির্বাহী সদস্যরা।
অংশগ্রহণকারী সদস্যলা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে এনসিপির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞাসা জানতে চান এবং নেতারা বিষয়গুলো স্পষ্ট করেন।
অনুষ্ঠানে পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, শ্রমিক, স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
