ইসরায়েল হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইয়েমেনের হুদাইদা ও আস-সালিফ বন্দর লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। শুক্রবার (১৬ মে) চালানো এই হামলার কথা নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তারা জানিয়েছে, হুথিরা এই বন্দরগুলো ব্যবহার করছিল অস্ত্র সরবরাহের জন্য। তবে হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বা হতাহতের বিষয়ে এখনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
এই হামলার কয়েক দিন আগেই হুথি বিদ্রোহীরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি অস্ত্রবিরতির চুক্তিতে পৌঁছেছিল। তবে সেই চুক্তিতে ইসরায়েল ছিল না। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই ইয়েমেন থেকে ইসরায়েল অভিমুখে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়, যা তারা প্রতিহত করেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শুক্রবার (১৬ মে) বলেছেন, ‘এই হামলা কেবল শুরু।’ তিনি হুতিদের ইরানের হাতিয়ার বলে উল্লেখ করে জানান, ‘আমরা চুপ করে বসে থাকব না। আমরা তাদের নেতৃত্ব এবং অবকাঠামো লক্ষ্য করে আরও জোরালোভাবে আঘাত করব।’
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, যদি হুতিরা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো অব্যাহত রাখে, তবে হুতি নেতা আব্দুল-মালিক আল-হুথিকে খুঁজে বের করে হত্যা করা হবে। তিনি ইঙ্গিত দেন, হুতি নেতা আল-হুথির পরিণতি হবে ঠিক গাজার হামাস নেতা মোহাম্মদ দেইফ, ইয়াহিয়া সিনওয়ার, ইরানে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং লেবাননে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর মতো, যারা ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন।
মার্চে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রায় ৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এ হামলার জবাবে হুতিরা অন্তত ৩৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে ছুঁড়েছে।