চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে বঙ্গোপসাগরে একটি কাঠের ট্রলারে তল্লাশি করে ৩৪০ বস্তায় প্রায় ১৭ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। তাদের ভাষ্য, সারগুলো মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশে ওই ট্রলারে মজুত করা হয়েছিল।
শুক্রবার (১৬ মে) রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানায় নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা এক মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, নগরীর পাহাড়তলী খেজুরতলা সংলগ্ন সাগর থেকে গত ১৪ মে ট্রলারটি আটক করা হয়।
নৌ পুলিশের চট্টগ্রামের কুমিরা ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর সারাবাংলাকে জানান, এফভি আবদুর রহমান-১ নামে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী খেজুরতলা এলাকায় অপেক্ষমাণ ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ট্রলার আটকে ৩৪০ বস্তা সার জব্দ করা হয়। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে মোট ১৭ হাজার কেজি সার পাওয়া গেছে।
ট্রলারের কাঠের পাটাতনের নিচে মাছ সংরক্ষণের জন্য বানানো ঘরে সারের বস্তাগুলো রাখা হয়েছিল। অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রলারে থাকা লোকজন কৌশলে সটকে পড়েন।
প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পরিদর্শক ওয়ালী আরও জানান, সারগুলো চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানিতে (কাফকো) উৎপাদিত। কৃষকদের কাছে ভর্তুকিমূল্যে বিক্রির বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) সেগুলো কাফকো থেকে কিনেছিল।
সাধারণত প্রথমে বিসিআইসি তাদের নিয়োজিত ঠিকাদারের মাধ্যমে কারখানা থেকে সারগুলো তাদের বাফার গুদামে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের নিয়োজিত ডিলারের কাছে সরবরাহ করা হয়।
‘আমাদের ধারণা, আটক করা ট্রলারের মালিকসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিসিআইসির ঠিকাদার বা অন্য কোনো উৎস থেকে সারগুলো সংগ্রহ করে মিয়ানমারে পাচারের জন্য মজুত করেছিল।’
এ ঘটনায় ট্রলার মালিক আব্দুল করিম ও মাস্টার জসীম উদ্দিনকে আসামি করে নগরীর পাহাড়তলী থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান নৌ পুলিশের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর।