ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য বিশেষ ট্রাইবুনালে পাঠানোর কথা জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শনিবার (১৭ মে) বিকাল সাড়ে ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লাউঞ্জে উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেন, ‘তদন্ত একটি জটিল কাজ। আমরা আশা করছি, এক সপ্তাহের মধ্যে এই ঘটনা উদঘাটিত হবে। তারপর আমরা চার্জশিট দিয়ে এই অপরাধের দ্রুততম সময়ে বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইবুনালে পাঠিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য সব ব্যবস্থা নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘দ্রুত বিচারের একটি উদাহরণ আপনারা আজ দেখেছেন। মাগুরার আছিয়ার ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত তদন্ত ও বিচার শেষে আজকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’
সাজ্জাত আলী বলেন, ‘তদন্ত একটি জটিল কাজ। গভীর রাতে এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। যারা জড়িত, তারা আহত ছিল। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আমরা তাদের আটক করেছি। তাদেরকে আদালত রিমাণ্ড দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পরবর্তী কার্যক্রম সাত দিনে শেষ করে আমরা চেষ্টা করব পুলিশের তরফ থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্রিফ করার। আমাদের আন্তরিকতার কমতি নেই। অনেক দূর এগিয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে অনেক কথা বলতে পারছি না।’
রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, ‘আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। আমরা তাদেরকে রেডিমেড পাইনি। যেহেতু তারা আহত ছিল তারা কোথাও না কোথাও ট্রিটমেন্ট নেবে এই সূত্র ধরে আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে তল্লাশি চালিয়ে একজনকে সমরিতা হাসপাতাল, অন্যজনকে বিআর বি হাসপাতালে পাই। তাদের কাছ থেকে জানতে পারি আরেকজন তাদের সঙ্গে ছিলেন। মোবাইল ট্র্যাকিং করে তাকেও ধরা হয়। যেহেতু তাদের উপর একটি মব হওয়ার শঙ্কা ছিল তাদেরকে ডিবি অফিসে নিয়ে গিয়ে ট্রিটমেন্ট দেই।’
তিনি আরো বলেন,’যে তিনজন গ্রেফতার হয়েছে আমরা শুধু তাদেরকে নিয়েই বসে নেই। আমরা সমস্ত অ্যাঙ্গেল থেকেই কাজ করছি। বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ এবং গ্রেফতারদেরকে আমরা কাল যখন রিমান্ডে পাব, তাদের থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে নিবিড়ভাবে বিষয়গুলো খুঁটিয়ে দেখব।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।