ঢাকা: রাতে দেশের ১১ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় ও বজ্রঝড় বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এইসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে রাত ২ টার মধ্যে সারাদেশে ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত হতে পারে। বজ্রপাত মোকাবিলায় দশ নির্দেশনা মেনে চলতে পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার (১৭ মে) রাত ১০টা থেকে রোববার (১৮ মে) সকাল ৯ টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের সই করা পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঝড়ের সময় বজ্রপাতের ক্ষতি এড়াতে আরেক সতর্ক বার্তায় শনিবার (১৭ মে) রাত ১০ টা থেকে পরবর্তী ২ থেকে ৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী, লক্ষীপুর, ঢাকা, মাদারীপুর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ এবং সিলেট জেলাগুলোর ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে প্রতি ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বা এর অধিক গতিবেগে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে। এ সময়ে নিচের পদক্ষেপগুলো গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হলো।
১. বজ্রপাত হলে ঘরের মধ্যে থাকা।
২. জানালা ও দরজা বন্ধ রাখা।
৩. সম্ভব হলে যাত্রা এড়িয়ে চলা।
৪. নিরাপদ আশ্রয়ে আশ্রয় নেয়া।
৫. গাছের নিচে আশ্রয় না নেয়া।
৬. কংক্রিটের মেঝেতে শয়ন না করা এবং কংক্রিটের দেয়ালে হেলান না দেয়া।
৭. বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলি প্লাগ খুলে দেওয়া।
৮. জলাশয় থেকে তাৎক্ষণিকভাবে উঠে আসা।
৯. বিদ্যুৎ পরিবাহক বস্তু থেকে দূরে থাকা।
১০. শিলা বৃষ্টির সময় ঘরে অবস্থান করা।