যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপশ্চিম ও দক্ষিণের অঙ্গরাজ্যে শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার (১৭ মে) রাতে কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার জানান, অঙ্গরাজ্যটিতে এখন পর্যন্ত ১৮ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। শনিবার (১৭ মে) ভোরে কেন্টাকির দক্ষিণ-পূর্বে লরেল কাউন্টিতে টর্নেডো আঘাত হানে।
এদিকে কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেখানে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে মিজৌরি অঙ্গরাজ্যে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সেন্ট লুইস শহরে ৫ জন নিহত হয়েছে।
গভর্নর আরও জানান, নিহতদের বেশিরভাগেরই বয়স ৬০ থেকে ৭০ এর মধ্যে। এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে লরেল কাউন্টির ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মীও রয়েছেন।
টর্নোডোটিক এই মৌসুমের সবচেয়ে খারাপ ঝড় হিসেবে বর্ণনা করেছেন গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার। তিনি গতকাল টর্নোডোর আঘাতে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং দুর্যোগ কবলিত বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।
অন্যদিকে ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে দুইজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। মেয়র স্পেন্সার এই ধ্বংসযজ্ঞকে ‘সত্যিই ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কমপক্ষে ৫ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হৃদয়বিদারক ধ্বংসযজ্ঞ।’
উদ্ধারকর্মীরা এখনও সেন্ট লুইস ও এর আশপাশের এলাকায় জীবিতদের সন্দানে তল্লাশি চালাচ্ছেন। সরকারি কর্মকর্তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে দূরে থাকতে বলেছেন, যাতে নির্বিঘ্নে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা যায়।
এ ছাড়া বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার পুনরুদ্ধার করতে শনিবার রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।