নতুন পোপ লিও চতুর্দশের অভিষেক রোববার (১৮ মে) ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
এদিন দুপুরে একটি বিশেষ সাদা বাহনে চড়ে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে এসে উপস্থিত হন পোপ লিও। এ সময় জনতার উদ্দেশে হাত নাড়িয়ে অভিবাদন জানান তিনি।
সেখানে সাধারণ ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ছাড়াও ছিলেন ১৫০টির বেশি দেশের প্রতিনিধিরা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে গিয়েছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ছিলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে। দুই ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন পোপ।
এই অনুষ্ঠানটি মূলত তার পোপ পদের আনুষ্ঠানিক সূচনাকে নির্দেশ করে। এটি ঐতিহ্যবাহী একটি রীতি হিসেবে দীর্ঘসময় ধরে চলে আসছে।
এর আগে, ২৬৭ তম পোপ হিসেবে নির্বাচিত লিও চতুর্দশ, তার বক্তৃতায় গির্জাগুলোর মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানান। পোপ বলেন, চার্চে ‘ধর্মীয় অপপ্রচারের’কোনো জায়গা নেই। ক্ষমতা দেখিয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে কেউ টিকতে পারবে না।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাচিত প্রথম পোপ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন লিও। গতকাল ভাষণের এক পর্যায়ে প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের বিনয়ের কথা স্মরণ করেন তিনি।
পোপ জানান, নিজের কোনো যোগ্যতার কারণে ক্যাথলিক চার্চের ২৬৭তম পোপ হিসেবে নির্বাচিত হননি তিনি। বরং ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের একজন ‘ব্রাদার’ হিসেবে এই দায়িত্ব পালন করতে চান। তিনি তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের সেবক হতে চান।
অভিষেক অনুষ্ঠানে ক্যাথলিক ধর্মগুরু হিসেবে পোপ লিওর কাছে সঁপে দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রতীক। এগুলো পোপের আধ্যাত্মিক নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বের পরিচয় তুলে ধরে। এর মধ্যে ছিল ‘পেলিয়াম’। ভেড়ার পশম দিয়ে তৈরি বিশেষ পোশাক এটি। এ ছাড়া ছিল বিশেষ একটি আংটি। সেন্ট পিটারের ছবিসংবলিত এই আংটিটি ‘ফিশারম্যানস রিং’ নামে পরিচিত।
অনুষ্ঠানের শেষের দিকে বিশ্বের সম্পদ দখল এবং দরিদ্রদের হতাশার অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি নিন্দা জানান পোপ লিও। আহ্বান জানান ইউক্রেনে স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠার।
পোপ বলেন, ‘উপত্যকাটিতে বসবাস করা শিশু, পরিবার, বৃদ্ধ এবং হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষদের অনাহারের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’ এ সময় ফিলিস্তিনের গাজার জন্য প্রার্থনা করেন তিনি।